সংক্ষিপ্ত

  • ভারতের সব শহরেই দেওয়ালে প্রস্রাব করা চালু আছে
  • এই সমস্যা দূর করতে অভিনব উদ্যোগ নিল বেঙ্গালুরু পুরসভা
  • স্বচ্ছ ভারত মিশনের কথা মাথায় রেখেই এই কাজ বলে জানিয়েছে তারা
  • মূত্রত্যাগ করতে আসলেই মানুষ লজ্জা পাবেন বলে দাবি

 

কলকাতার রাস্তা দিয়ে হাঁটলে দেওয়ালে কত কীই না দেখা যায়। রাজনৈতিক দাবি দাওয়া, সিনেমার পোস্টার আর কোথাও কোথাও দেওয়াল ভেজা। সেখান থেকে ফুটপাথ দিয়ে সেই ধারকা বয়ে চলেছে রাস্তার দিকে। তা শুধু কলকাতার দোষ দিয়ে লাভ নেই, আমাদের দেশে প্রায় প্রতিটি শহরেই দেওয়ালে মূত্রত্যাগ করেন এমন মানুষের অভাব নেই। বেঙ্গালুরুও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে সম্প্রতি ব্রুহুত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে অর্থাৎ পুরসভা এই বিষয়টি মোকাবিলা করতে এক অভিনব পন্থা নিয়েছে।

এমন এক পন্থা যাতে দেওয়াল ভেজাতে আসলেই মূত্রত্যাগকারী লজ্জায় সরে পডড়তে বাধ্য হচ্ছেন। বেঙ্গালুরু পুরসভার পক্ষ থেকে, নিয়মিত মূত্রত্যাগ করা হতো, শহরের এমন পাঁচটি জায়গার দেওয়ালে দেওয়ালে পেল্লাই আকারের আয়না লাগিয়ে দিয়েছে। ত্যাগ করতে উদ্যত হয়েই অনেকে মুখ তুলে আয়নায় নিজেকে দেখে লজ্জায় কেটে পড়ছেন বলেই খবর।

তবে শুধু এই অশোভন কাজ যারা করেন, তাদের ভাগিয়ে দেওয়াই নয়। একইসঙ্গে বেঙ্গালুরু পুরসভার পক্ষ থেকে তাঁদের বিকল্প পথও বাতলে দেওয়া হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে সম্বৃদ্ধ শহরে ওই আয়নার গায়েই থাকছে কিউআর কোড। স্মার্টফোনের ক্যামেরা ব্যাবহার করে তা স্ক্যান করলেই ধারেকাছে কোথায় শৌচাগার রয়েছে তার সন্ধান দেওয়া হবে গুগল ম্য়াপ  

বিবিএমপি-র পুরকমিশনার বলেছেন, উন্মুক্ত জায়গায় প্রস্রাব করা কমাতে প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারতের ভাবনা-কে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতেই পুরসভা এই উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তিনি এটাও স্বীকার করে নিয়েছেন সবসময় কাছাকাছি শৌচাগার মেলে না। তবে মোটামুটিভাবে সব জায়গায় ৬০০ মিটার দূরত্বের মধ্যেই শৌচাগার রয়েছে বলে তাঁর দাবি। তাঁদের এই উদ্যোগের ফলে সাধারণ মানুষ দেওয়াল ছেড়ে শৌটাগারই ব্যবহার করায় অভ্যস্ত হবেন।

এই উদ্যোগ কতটা কার্যকরী হয় সেটাই এখন দেখার।