সংক্ষিপ্ত
একজন ভিখারির মাসে কত রোজগার হতে পারে? ভারতের ধনীতম ভিখারি মুম্বইয়ের ভরত জৈনের কথা শুনলে চোখ কপালে উঠবে।
উপার্জন আর সঞ্চয়ের মধ্য়ে একটা অদ্ভূত সমীকরণ আছে। অনেকেই অনেক টাকা উপার্জন করলেও, বিশেষ সঞ্চয় করতে পারেন না। আবার অনেকের উপার্জন তুলনায় অনেক কম হলেও সঞ্চয় অনেক বেশি। আসলে এটা নির্ভর করে ব্যক্তিগত এবং বসবাসের এলাকার জীবনযাত্রার মানের উপর। আর এই জটিল অঙ্কের খেলাতেই ভারতে এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের পেশা ভিক্ষা করা হলেও, আমার-আপনার চেয়ে তারা অনেক বিত্তশালী। এরকম একজনই হলেন ভরত জৈন। ভারতের ধনীতম ভিখারি।
ভিক্ষাবৃত্তি যাঁরা করেন, তাঁদের সুবিধা হল, কোনও একটি জায়গায় আবদ্ধ থেকে তাদের কাজ করতে হয় না। ঘোরাফেরার ব্যাপক স্বাধীনতা আছে। তবে ভরত জৈন সাধারণত মুম্বাইয়ের পারেল এলাকায় কাজ করেন। তাঁর পেশা ভিক্ষাবৃত্তি হলেও ৪৯ বছর বয়সী এই ব্যক্তির মাসিক আয় প্রায় ৮৭ হাজার টাকা। এছাড়া, তিনি দু'টি অ্যাপার্টমেন্টের মালিক। যার একেকটির দাম ৮০ লক্ষ টাকারও বেশি।
ভারতের ধনীতম ভিখারি ভরত জৈন
"
তবে ভরত জৈনের উপার্জনের পুরোটাই যে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে আসে তা নয়। তিনি একটি দোকানেরও মালিক। তবে সেই দোকান নিজে চালান না, ভাড়া দেন। সেই বাবদ মাসে সাড়ে ১১ হাজার টাকা করে আয় হয় তাঁর।
আরও পড়ুন - ৯ বছর করে আয়ু কমে গেল ভারতীয়দের - এভাবে চললে বিপর্যয়ের গ্রাসে তলিয়ে যাবে দেশ, দেখুন
আরও পড়ুন - স্ত্রীর গোপনাঙ্গ সেলাই করে দিল হাতুড়ে ডাক্তার, ভারতে বাড়ছে সন্দেহবাতিক স্বামীর সংখ্যা
ভিক্ষাবৃত্তি করেও ধনী হয়েছেন এমন মানুষের অভাব নেই আমাদের শহর কলকাতাতেও। আর সেই তালিকার একেবারে উপরে রয়েছেন লক্ষ্মী দাস। ১৯৬৪ সালে কলকাতার বুকে যখন ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেছিলেন তিনি, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৬। তারপর ৫০ বছরেরও বেশি কর্মজীবনে যতটা সম্ভব সঞ্চয় করেছেন। খুলেছেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। বর্তমানে লক্ষ্মী দাসের মাসিক আয় প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। আর তার সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে বিপুল অর্থ।