সংক্ষিপ্ত

  • মঙ্গলবার বিহারে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন 
  • ১৭ জেলায় ৯৪ আসনে ভোগগ্রহণ 
  • দ্বিতীয় দফার নির্বাচনই কি ফ্যাক্টর 
  • তেজস্বী বনাম নীতিশের লড়াইয়ে 
     

নীতিশ কুমার কি বারও মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ফিরে আসবেন নাকি তেজস্বী যাদব বিহারের কনিষ্ঠতম মুখ্যমন্ত্রী হয়ে শপথ গ্রহণ করবেন? দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তা আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৩ নভেম্বর বিহার বিধানসভার দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচন। এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৭টি জেলার ৯৪টি কেন্দ্রে। এবার এক ঝলকে দেখে নিন দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের চালচিত্র। 


দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন নিতীশ কুমারের পাশাপাশি আরজেডি নেতা তথায় বিরোধী শিবিরের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।  কারণ দ্বিতীয় দফার নির্বাতনে তাঁর ও তাঁর দাদা তেজ প্রতাপ যাদবের ভাগ্য পরীক্ষা হবে। তেজস্বী লড়ছেব পারিবারিক আসন রাঘোপুর থেকে। আর তেজপ্রতার প্রার্থী হয়েছেন হাসানপুর থেকে। দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচেনে ৯৪টি আসনের মধ্যে আরজেডির প্রার্থী দিয়েছে ৫৬টি আসনে।  নীতিশ কুমারের জেডিইউ লড়ছে ২৪টি আসনে। বিজেপি আজজেটির সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বিন্দ্বীতা করছে ২৭টি আসনে। দ্বিতীয় দফায় ৪৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস লড়াই করছে ২৪টি আসনে। 

 বিহার বিধানসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। আগেরর বারের জেতা প্রার্থীদের কাছেই কঠিন লড়াই। কারণ গত বিধানসভা নির্বাতনে বিহারে নীতিশ কুমারের লালু প্রসাদের আরজেডির সঙ্গে লঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছিল। কিন্তু চলতি বিহারের সম্পূর্ণ বদলে গেছে বিহারের রাজনৈতিক চালচিত্র। চলতি নির্বাচনে বিহারে মূলত ত্রিমুখী লড়াই হচ্চে। কারণ এনডিএ-র মূল প্রতিপক্ষ কংগ্রেস আরজেডির মহাজোট হলেও লোকজনশক্তি পার্টির নেতা চিরাগ পাশোয়ানও এই নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িছেন। তেজস্বীর সম্পূর্ণ বিরুদ্ধপন্থী হয়েও তিনিও অনেকটা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে সুরে সুর মিলেয় নীতিশেন ১৫ বছরের অনুন্নয়ন, অপশাসনকেই তুলে ধরেছেন ভোট প্রচারে। পাশাপাশি দলিত ভোট টানার একটা প্রয়াশও করেছেন তিনি। সরকার না বিরোধী কোন দিকের ভোট তিনি কাটবেন তাই নিয়ে এখনও পর্যন্ত সংশয় রয়েছে দুই শিবিরে। 

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফাতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে আগামী দিনে কে বসবে বিহারের মসনদে। পাশাপাশি পরিষ্কার হয়ে যাবে তেজস্বী যাদবের তোলা চারকির প্রতিশ্রুতি কতটা কতটা কার্যকর ভারতীয় রাজনীতিতে। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে বিজেপি জেডিইউ জোটের হয়ে জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী থেকে নীতিশ কুমার সকলেই তেজস্বী যাদবের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিলেন। পাশাপাশি ভার্চুয়াল সভার ওপরেই তাঁরা জোর দিয়েছিলেন। অন্যদিকে তেজস্বী যাদবের নির্বাচনী সভাগুলিতে প্রচুর ভিড় হয়েছিল। নির্বাচনী প্রচারে তিনি এখনও নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেননি। কিন্তু নীতিশ কুমারকে উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকেননি। সবমিলিয়ে শাসক বিরোধী দুই শিবিরের কাছেই দ্বিতীয় দফার নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।