সংক্ষিপ্ত
- সোশ্যাল মিডিয়ায় বিহার নিয়ে বার্তা
- বিহারের মানুষ রয়েছেন এনডিএর সঙ্গে
- কৃষকদের জন্য এনডিএ ছাড়া আর কেউ কোনও কাজ করেনি
- বিহারের মানুষকে ধন্যবাদ
বিহার দখল করা পাথির চোখ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের। তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবারই বিহারে পরপর দুটি জনসভায় অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এদিন শারীরিকভাবে বিহারে ভোট প্রচার করতে না গেলেও তিনি বিহারবাসীর উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেন। সোশ্য়াল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী মূলত বিহারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন এনডিএ কৃষকদের জন্য যতটা যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তা এর আগে কোনও সরকার গ্রহণ করেনি। মেগা ফুড পার্ক, আধুনিক কোল্ড চেইন অ্যাগ্রো প্রসেসিং ক্লাস্টার বিহারকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। আধুনিক কৃষি অবকাঠামো গঠনে সহায্য করবে। কৃষকদের আর্থিক সংগতি বাড়াকে এই প্রকল্পগুলি সাহায্য করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিহার ইস্যুতে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরপর বেশ কয়েকটি বার্তা দেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বিহারের ভোট প্রচারে গিয়ে বলেছিলেন আগামী দিনে ওই রাজ্য়ে ফের ক্ষমতায় আসছে এনডিএ। এদিন অবশ্য সুর কিছুটা নরম করে প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, বিহারের যুবক, এনডিএ -কে আশা দেখাচ্ছে। তিনি বলেন তাঁদের সরকারই একমাত্র পারে বিহারের যুবকদের স্ব-রোজগারের সুযোগ করে দিতে। বিহারে নির্বাচনী প্রচারের প্রথম থেকে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে বিরোধী পক্ষের নেতা তেজস্বী যাদব। বিহার নির্বাচনে যা অন্যতম একটি ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। আর সেই কারণে একাধিক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আত্মনির্ভর ভারত গঠনের পক্ষে সওয়াল করে স্বরোজগারের কথা বলছেন। আর সেই কারণেই মুদ্র যোজনা প্রকল্প বা স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়ার মিশনের আওতায় বিহারকে এক কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জনধন যোজনা, স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের পাশাপাশি একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন তাঁর সরকারের রুপায়িত প্রকল্পগুলি উন্নয়নমুখী। আর সেইকারণেই বিহারের বাসিন্দারা উন্নয়নে সামিল হওয়ার জন্য এনডিএ সরকারেই আবার ফিরিয়ে আনবে বিহারে। একের পর এক জনসভায় স্থানীয় মহিলা ও পুরুষদের ভিড় প্রমান করে বিহারের বাসিন্দারা কী চাইছেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, বিহারের মানুষ গণতন্ত্রের মূল্যবোধকেই সর্বোচ্চ বলে মনে করেন। তাঁর আইনের শাসন চান। পাশাপাশি তিনি বলেন বিহারের ভাই ও বোনেদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়ে ও তাঁদের আর্শীবাদ পেয়ে তিনি অভিভূত। প্রত্যেকটি সভায় তিনি প্রচুর মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। বিহারের মাটি তাঁরে জনসেবায় আরও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করে তুলেছে বলেও মন্তব্য করেন।