সংক্ষিপ্ত

এনডিএ-র আগে ঘর গোছালো ইউপিএ

শনিবার ঘোষণা করা হল তাদের আসন সমঝোতার বিষয়টি

সেইসঙ্গে ঘোষণা করা হল মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নামও

তবে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কিছু অসন্তোষ রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে

 

বিহারের নির্বাচনে এনডিএ-র আগেই ঘর গুছিয়ে নিল ইউপিএ। শনিবার, কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হল বিহারে ইউপিএ জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডি নেতা তেজশ্বী যাদব। গত কয়েকদিন ধরেই বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২০-এ আসন ভাগাভাগি নিয়ে একের পর এক বৈঠক চলছিল ইউপিএ জোটের দলগুলির মধ্যে।

শনিবার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ইউপিএ-র সব শরিক দল জোট হিসাবে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরজেডি-র নেতৃত্বে কংগ্রেস, আরজেডি, সিপিআই, সিপিএম এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি এই জোটে অংশ হচ্ছে। তেজশ্বী যাদবের অধীনে বিহারের সমৃদ্ধি চাইছে এই জোট।

আসন ভাগাভাগির বিষয়েও জোটের শরিকরা ঐক্যমত হয়েছে। জানা গিয়েছে বিহারের মোট ২৪৫টি আসনের মধ্যে আরজেডি প্রার্থী দেবে ১৪৪টি আসনে । কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ৭০টি আসনে। আর বাম দলগুলি ২৯টি আসনে (সিপিআই (এম) ৪টি, সিপিআই ৬টি এবং সিপিআই (এমএল) ১৯টি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

আসন ভাগাভাগির বিষয়ে ঘোষণা করা হয়ে গেলেও এই বিষয়ে ইউপিএ শরিকদের মধ্যে এখনও অস্বস্তি রয়েছে বলেই সুত্রের খবর। জানা গিয়েছে আরজেডি নেতা ভোলা আসন বন্টনের বিষয়ে আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের মতামত নিতে গিয়েছিলেন রাঁচিতে। লালু প্রসাদ নাকি কংগ্রেসকে ৬০টিরও বেশি আসন ছাড়ার পক্ষপাতি ছিলেন না। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে শেষ পর্যন্ত ৭০টি আসনে রফা হলেও, এই আসন সংখ্যায় বিহারের কংগ্রেস নেতারা খুব একটা সন্তুষ্ট নন। বিহার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এবং বিহারের ইনচার্জ শক্তিসিং গোহিল অবশ্য সব জল্পনা উড়িয়ে শনিবার টুইট করেছেন, 'সব ঠিক আছে'।