সংক্ষিপ্ত

চর্ম রোগের ওষুধই প্রাণ বাঁচাচ্ছে করোনা রোগীদের 
দাবি ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা বায়োকনের
জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের অনুমতি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

 করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এবার চর্মরোগের ওষুধকেই ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অব ইন্ডিয়া। বেঙ্গালুরুর ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা বায়োকনের পক্ষ থেকে তেমনই জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান কিরণ মজুমদার শ। তবে এই ওষুধ সকলের ব্যবহারের জন্য নয়। মাঝারি ও গুরুতর শ্বাসকষ্ট রোগীদের ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র এই ওষুধ জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে বলেও ডিজিসিআই-এর পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। 

বায়োকনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, চারটি কেন্দ্রে ৩০ জন রোগীর ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শুধুমাত্র মাঝারি ও তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদেরকেই ইটোলিজুমাব ওষুধটি প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাতে ভালো ফল পাওয়া গেছে বলেই সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। দেশীয় সেই ওষুধটি এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে বলে বিবেচনা করা হয়ে। তেমনই জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানান হয়েছে একটি দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা বায়োকন । ২০১৩ সাল থেকে ইটোলিজুমাব নামের একটি ওষুধ প্রস্তুত করছে। যেটি মাঝারি থেকে মারাত্মক স্লোরিয়াস রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। স্লোরিয়াস একটি চর্মরোগ। যা দীর্ঘস্থায়ী হয় মানুষের শরীরে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে আরও জানান হয়েছে ২০১৩ সাল থেকেই এই ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করছে বায়োকন। 

বায়োকনেক পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল শুধুমাত্র ৩০ শতাংশ রোগীদের ওপরই এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল। আর তাতে দেখা গেছে মৃত্যুর হার কমেছে। পাশাপাশি আক্রান্তদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও বেড়েগেছে। 

সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও জানান হয়েছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলাকানীর যে ৩০ জনের ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল তারমধ্যে থেকে ২০জনের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতাল, দিল্লির অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স, মুম্বইয়ের এডএয়ার্ড মেমোরিয়াল ওবিওয়াইএল নায়ার হাসপাতাল। 


কম পক্ষে ১০ রোগী যাদের অ্যান্টিভাইরাল, হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইনিন এবং অক্সিজেন থেরাপি দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে তিন জন মারা গিয়েছিলেন। আর সাত জন বেঁচে রয়েছে। সংস্থাটি অবশ্য এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য শেযার করেনি। 

সংস্থাটি দাবি করছে ভারতের বেশ কয়েকটি জায়গায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের বাঁচাতে চিকিৎসকরা ওই ওষুধ ব্যবহার করছেন। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাতে প্রায় শতাধিক রোগী ওই ওষুধের জন্য জীবন ফিরে পেয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।