সংক্ষিপ্ত
এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে নেপাল মাহাতো দাবি করেন বিজেপি খুব তাড়াহুড়ো করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্যেই বিজেপির এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন নেপাল মাহাতো।
সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। ২০১৯ সালের মানহানির মামলায় গুজরাটের সুরাটের দায়রা আদালত দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাঁকে। এর ফলে নিয়ম অনুসারে, রাহুল গান্ধী সংসদ অধিবেশনে একজন সাংসদ হিসাবে উপস্থিত থাকতে পারবেন না যতক্ষণ না তিনি হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন এবং হাইকোর্ট তার আপিলটি শুনানির জন্য নেয় এবং শুনানির জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করে।
তবে আইনী লড়াইয়ের পথে হাঁটার আগে শুক্রবারের এই ধাক্কা নিয়ে কি বলছে কংগ্রেস। পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর পরিষ্কার দাবি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এমন কিছু গুরুতর অভিযোগ ছিল না, যার জন্য সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যেতে পারে। গোটা ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে পেশ করা হয়েছে। বিজেপির ষড়যন্ত্রেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে নেপাল মাহাতো দাবি করেন বিজেপি খুব তাড়াহুড়ো করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্যেই বিজেপির এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন নেপাল মাহাতো। তবে আদালতের রায় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি এই কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন হাইকোর্টের আপিলের রাস্তা খোলা রয়েছে, সেই পথেই হাঁটবে কংগ্রেস। তাই এখনও চূড়ান্ত কোনও মন্তব্য না করাই উচিত।
এদিকে রাহুল গান্ধী যদি এই সাজাকে গুজরাট হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন, তাহলে প্রথম চেষ্টা হবে সুরাট দায়রা আদালতের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ নেওয়ার। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর মামলার সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ বহাল থাকবে। হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ না পেলে রাহুলকে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ নিতে হবে।
বর্তমানে সুরাট দায়রা আদালত রাহুলকে সাজা দেওয়ার পর জামিন দিয়েছে। পাশাপাশি হাইকোর্টে আপিলের জন্য ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা তাড়াতাড়ি আপিল দায়ের করবে যাতে বিজেপি রাহুলের সদস্যপদ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ না পায়। এ জন্য শুক্রবার সকাল ১০টায় বিরোধী দলগুলির বৈঠকও ডেকেছে কংগ্রেস। এতে আদালতের বাইরেও এ ইস্যুতে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, রাহুল গান্ধীর সাংসদ হওয়ার কারণে, সুরাট জেলা প্রশাসন তাকে দায়রা আদালতের দেওয়া সাজার একটি অনুলিপি লোকসভা সচিবালয় এবং নির্বাচন কমিশনে পাঠাবে। লোকসভা সচিবালয় বিষয়টি স্পিকারের সামনে তুলে ধরবে। যদি লোকসভার স্পিকার অর্থাৎ স্পিকার এই বিষয়টিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের বিধি অনুযায়ী উপযুক্ত মনে করেন, তাহলে তিনি রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ বাতিল করবেন। এই তথ্য নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হবে যাতে সংশ্লিষ্ট লোকসভা আসন শূন্য ঘোষণা করে উপনির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।