সংক্ষিপ্ত
- সুষমা স্বরাজের প্রয়াণে মর্মাহত সকলে
- রাজনীতি থেকে বিনোদন মহলের সকল মানুষই মর্মাহত
- কিন্তু তাঁর নামই ভুলে গেলেন বিজেপির এক সাংসদ
- বক্তৃতার মাঝে তাঁর নামই ঠিক করে বলে উঠতে পারলেন না
সুষমা স্বরাজের প্রয়াণে মর্মাহত রাজনীতি থেকে বিনোদন মহলের সকল মানুষ। রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ জীবনে তাঁর রেখে যাওয়া অবদান নিয়ে আজও ভারাক্রান্ত বহু মানুষের মন। কিন্তু সেই সুষমা স্বরাজ-এর নামই ভুলে গেলেন তাঁর নিজেরই দলের এক সাংসদ!
কানপুরের বিজেপি দলের সাংসদ সত্যদেব পাচৌরি প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের নামটাই ভুলে গেলেন বলে খবর। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির প্রসঙ্গে কথা বলছিলেন। সেখানে তিনি আচমকাই বলে বসেন, 'কী যেন নাম ছিল তাঁর, যিনি মারা গেলেন'। সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা অবাক দৃষ্টে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকেন। ইতিমধ্যেই আশেপাশে শুরু হয়ে যায় গুঞ্জন। তখন কর্মীসমর্থকদের মধ্যে থেকেই একজন বলে ওঠেন 'সুষমা স্বরাজ'।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই প্রথম কানপুরে যান সাংসদ সত্যদেব পাচৌরি। তাঁর আসা উপলক্ষ্যে, বিজেপির কর্মী সমর্থকরা মিষ্টি বিতরণ করেন এবং আতশবাজিও পোড়ান। সেই অনুষ্ঠানেই তাঁর বক্তৃতার সময়ে ঘটে এই ঘটনা।
বক্তৃতার মাঝে তিনি বলেন, ৩৭০ ধারা বিলোপের দাবি যিনি জানিয়েছিলেন, 'শ্রীমতি... কী যেন তাঁর নাম, যিনি মারা গেলেন...'-এর উত্তরে ভিড়ের মধ্যে থেকে সুষমা স্বরাজের নাম ভেসে আসার পর তিনি বলেন '৩৭০ ধারা বিলোপের দাবি প্রথম তুলেছিলেন শ্রীমতী সুষমা স্বরাজ'। লোকসভায় যখন কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল পাশ হয়, ঠিক তখন তিনি টুইট করে জানিয়েছিলেন যে এই মুহূর্ত দেখার জন্যই তিনি বেঁচে রয়েছেন। তবে তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা।