সংক্ষিপ্ত

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Elections 2022) মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস (Congress)। তারপরই গুলাম নবি আজাদের (Ghulam Nabi Azad) নয়াদিল্লির (New Delhi) বাসভবনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হলেন কপিল সিবাল (Kapil Sibal) এবং মণীশ তিওয়ারি (Manish Tewari)। 
 

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Elections 2022) মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস (Congress)। মণিপুর, উত্তরপ্রদেশে তারা এক অঙ্কের আসনে নেমে এসেছে। পঞ্জাবেও লজ্জাজনক হার হয়েছে। গোয়া এবং উত্তরাখণ্ডে বিজেপির (BJP) সরকার গড়া তো আটকাতে পারেইনি কংগ্রেস, সামান্য লড়াইও ছুড়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আর তারপরই প্রত্যাশা মতোই ফের শতাব্দী প্রাচীন দলে বেজে উঠল গৃহযুদ্ধের ডঙ্কা। যখন ডি কে শিবকুমারের (DK Shivkumar) মতো গান্ধী পরিবার-ঘনিষ্ঠরা গান্ধীদের মুখ রক্ষায় ব্যস্ত, তখন, শুক্রবার সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হলেন ৩ জি২৩ নেতা। 

সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর খবর অনুযায়ী, এদিন সন্ধ্যায় প্রবীনতম জি-২৩ নেতা গুলাম নবি আজাদের (Ghulam Nabi Azad) নয়াদিল্লির (New Delhi) বাসভবনে উপস্থিত হয়েছেন আরও দুই বিদ্রোহী নেতা কপিল সিবাল (Kapil Sibal) এবং মণীশ তিওয়ারি (Manish Tewari)। বছর দুই আগে, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে লজ্জাজনক ফলের পরই দলীয় সভাপতি সনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) চিঠি লিখে, দলের নেতৃত্বের পরিবর্তন এবং দলীয় কাঠামোর সম্পূর্ণ সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতাদের একাংশ। যারা জি-২৩ গোষ্ঠী বলে পরিচিত হয়েছেন। 

আরও পড়ুন - কে দল চালাচ্ছে কেউ জানে না, পঞ্জাবে কংগ্রেসের সংকট নিয়ে নাম না করে গান্ধীদের নিশানা সিবালের

আরও পড়ুন - 'আমি কংগ্রেসের ভাড়াটে নই', কংগ্রেস নেতৃত্বকে সতর্ক করলেন মণীশ তিওয়ারি

আরও পড়ুন - Padma Bhushan Ghulam Nabi Azad: অনুঘটক বুদ্ধদেব, কংগ্রেসের বিদ্রোহ উসকে দিল পদ্ম সম্মান

সেই থেকে এই প্রশ্নে দলে দুই গোষ্ঠী তৈরি হয়ে গিয়েছে। সাম্প্রতিক ফলাফল কিন্তু, দলে জি-২৩ অংশের দাবিকে ফের জোরালো করে তুলেছে। শশী থারুর যেমন বৃহস্পতিবারই বলে দিয়েছেন, দলে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। আরেক কংগ্রেস নেতা জয়বীর শেরগিলও সংস্কারের আবেদন করে দিয়েছেন। আর তারপর এদিনের এই বৈঠক।

আরেকদিকে, এই পরাজয়ের পরও দলীয় নেতৃত্ব'কে অর্থাৎ গান্ধী পরিবারকে রক্ষা করার প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গান্ধী পরিবারের অনুগত নেতারা। ডিকে শিবকুমার যেমন সাফ জানিয়েছেন, 'গান্ধী পরিবার ছাড়া কংগ্রেস দল ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারে না। তাঁরাই কংগ্রেস দলের ঐক্যের মূল চাবিকাঠি। গান্ধী পরিবার ছাড়া কংগ্রেসের টিকে থাকা অসম্ভব'। 

তবে, গত কয়েক বছরে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া থেকে শুরু করে, একের পর এক শক্তিশালী কংগ্রেসি নেতা, গান্ধী পরিবারের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেই দল ত্যাগ করেছেন। কাজেই তারা কীভাবে ঐক্য ধরে রাখছেন, সেই প্রশ্ন উঠবেই। শিবকুমারের অবশ্য দাবি, যারা দল ছাড়ছেন, তাঁরা ক্ষমতার জন্য ক্ষুধার্ত। ব্যক্তিগত লাভের জন্য কংগ্রেস ছাড়ছেন। প্রকৃত কংগ্রেসীরা সবসময় গান্ধী পরিবারের পাশে থাকবেন বলেই দাবি করেছেন তিনি। শিবকুমারের আরও দাবি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi Bhadra) কঠিন লড়াই করলেও, ফলাফল মেলেনি। কারণ, এই দেশের মানুষ বুঝতে পারছে না। কংগ্রেস ভোটারদের বোঝাতে পারছে না। 

এই অবস্থায়, গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে হওয়া এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এরপরও যদি, তাঁদের দাবি না মানা হয়, দল দুই টুকরো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।