সংক্ষিপ্ত
- অভিবাসীদের বাড়ি ফেরাতে ৮৫ শতাংশ ভর্তুকি রেলের
- বাকি ১৫ শতাংশ টাকা দেবে রেল
- শ্রমিক ট্রেনের ভাড়া নিয়ে বিবাদ
- কংগ্রেস ও বিজেপির বিবাদ তুঙ্গে
ভারতীয় রেলের তরফ থেকেও ঘোষণা করা হয়েছে। অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে কোনও টিকিট বিক্রি করেনি ভারতীয় রেল। মোট খরচের মাত্র ১৫ শতাংশই নেওয়া হচ্ছে। যা স্ট্যান্ডার্ড ভাড়া হিসেবেই ধার্য করা হয়েছে। রাজ্যগুলির পক্ষ থেকে দেওয়া তালিকার ভিত্তিতেই যাত্রীদের ট্রেনে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সিট দেওয়ার জন্য একটি পাস বিলি করা হয়েছে শ্রমিকদের মধ্যে। জানিয়েছে ভারতীয় রেল। ৮৫ শতাংশই ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছে রেল মন্ত্রক।
পাশাপাশি আরও জানান হয়েছে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে ট্রেনের বেশ কিছু অংশ খালি রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি অভিবাসী শ্রমিকদের বিনামূল্যে খাবার ও জলের বোতল দেওয়া হচ্ছে বলেও ঘোষণা জানিয়েছে রেল মন্ত্রক। বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৩৪টি শ্রমিক ট্রেন চালান হবে বলেও জানান হয়েছে রেলের তরফ থেকে। দরিদ্র ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে বাড়ি ফেরাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান হয়েছে রেলের তরফে।
করোনা সংকটের মধ্যেও বাকযুদ্ধে বিরাম নেই কংগ্রেস ও বিজেপির। দেশের প্রথম সারির দুই প্রতিক্ষ রাজনৈতিক দল প্রায় প্রতিটি পদক্ষেপেও একে অপরকে নাজেহাল করতে ব্যস্ত। এবার প্রথম সারির দুই রাজবনৈতিক দলের লড়াইয়ের ইস্যু অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ট্রেনের ভাড়া। দীর্ঘ দিন পর কেন্দ্রীয় সরকার অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু প্রথমে জানান হয়েছিল সড়ক পথেই তাঁদের বাড়ি ফেরাতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে। কিন্তু রাজ্যগুলির দাবি মেনে ট্রেনের ব্যবস্থা করে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু অভিবাসী শ্রমিকদের ট্রেনের ভাড়া কে দেবে তা নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন বিবাদ।
আরও পড়ুনঃ তৃতীয় লকডাউনে কী কী ছাড় দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, এক ঝলকে চোখ বুলিয়ে নিন ...
সোমবার সকালেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি জানিয়েছিলেন অভিবাসীদের বাড়ি ফেরার ট্রেনের ভাড়া দেবে কংগ্রেস। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই আসরে ননামে বিজেপি। দলের তরফ থেকে জানান হয়েছে অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার জন্য কোনও টাকাই দিতে হবে তাঁদের। ৮৫ শতাংশ ভর্তুকি দেবে রেল মন্ত্রক। বাকি ১৫ শতাংশ টাকা দেবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি। যদিও আগেই রাহুল গান্ধি পিএম কেয়ার্স ফান্ডি নিয়ে নিশানা করেছিলেন কেন্দ্রের মোদী সরকারকে। তাঁর বক্তব্য ছিল দরিদ্র শ্রমিকরা এতদিন পরে বাড়ি ফিরছে কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই সংকটের সময় কেন তাঁদের থেকে টাকা নিচ্ছে। রাহুলকে উত্তর দিতে আসরে নামেন বিজেপি মুখুপাত্র সম্বিত পাত্র। তিনি বলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের গাইড লাইনে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে অভিবাসী শ্রমিকদের থেকে ট্রেনের ভাড়া নেওয়া হবে না। সুব্রাহ্নণ স্বামীও সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, রেল মন্ত্রকের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। রেল ভাড়া মকুব করবে বলেই জানিয়েছে।