সংক্ষিপ্ত
জেনে রাখুন আপনার আমার মতোই কালো হয় ভারতের গৌরব তাজমহলের ত্বকও। তাজমহলের উপর থেকে ট্যান সরানোর জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে সরকার। শুনে অবাক হচ্ছেন? অবাক হলেও এটাই সত্যি।
রোজ এই গরমে বের হতে হয় রোদে? ট্যান পড়ে গায়ের রং-এ পড়েছে কালো পোচ, তাই তো! সেই নিয়ে বড্ড চিন্তায় আপনি। খুব স্বাভাবিক। সেই ট্যান তুলতে গিয়ে নিত্যদিন পার্লারেও ছুটতে হয়। কিন্তু আপনার একার ত্বকেই ট্যান পড়ে না। আরও এমন জিনিস আছে যাদের গায়ে ট্যান পড়ে ঝামা হয়ে যায়। জিনিসেও ট্যান পড়ে, সেটা শুনে অবাক হচ্ছেন তো!
জেনে রাখুন আপনার আমার মতোই কালো হয় ভারতের গৌরব তাজমহলের ত্বকও। তাজমহলের উপর থেকে ট্যান সরানোর জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে সরকার। শুনে অবাক হচ্ছেন? অবাক হলেও এটাই সত্যি। ফেসপ্যাক লাগানোর মতই তাজমহলের গায়েও লাগানো হয় এই বিশেষ প্যাক থেরাপি। জানেন কী সেই থেরাপি? ঠিক কত টাকা খরচ হয় এর জন্য?
যেটা বলছিলাম। এই তাজমহলের গায়ে কিন্তু বেশ ভালোমত ট্যান পড়ে, জানেন! সেই তাজের গায়েই নাকি পড়েছে ট্যান। মুক্তোর মত ধবধবে সাদা সৌধের রং নাকি দিন দিন মলিন হয়ে পড়ছে। আর সেই ট্যান দূর করতে গিয়েই ত্রাহী ত্রাহী রব সরকারের।
বিশেষ সূত্রের খবর তাজমহলের গায়ের এই ট্যান দূর করতে বিশেষ থেরাপি নিয়ে এসেছে ASI। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার মতে, সময়ে সময়ে তাজমহলের গায়ে এই থেরাপি প্যাক লাগানো বিশেষ প্রয়োজন। নাহলে নষ্ট হতে পারে তাজমহলের সৌন্দর্য। জানেন তাজমহলের গায়ে লাগানো এই প্যাকের খরচ কত? টাকার অঙ্ক শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনার।
তাজমহলের গা থেকে ট্যান তুলতে ও গোটা সৌধকে পরিষ্কার রাখতে এই থেরাপির পিছনে খরচ হয়েছে মোট এক কোটি চুয়াত্তর লক্ষ দশ হাজার দুশো বিয়াল্লিশ টাকা। অর্থাৎ প্রায় দু’কোটির গোড়ায়। কী? চমকে উঠলেন তো? ভাবছেন, তাজের গায়ে কী এমন প্যাক লাগানো হয় যার জন্য খরচ এত?
তাহলে জেনে নিন যে সম্প্রতি তাজমহল নিয়ে একটি আরটিআই সামনে এসেছে। এই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, এই থেরাপি নিয়ে এসেছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। তাজমহলের গায়ে জমে থাকা ধুলো, মাটি, নোংরা পরিস্কার করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই থেরাপি প্যাক।
সূত্রের খবর, তাজমহলের গায়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১০ বার এই কাদা প্যাক থেরাপি ব্যবহার করেছে ASI। আপনি যেরকম ফেসপ্যাক লাগিয়ে কিছুক্ষণের জন্য তা শুকোতে দেন, ঠিক সেভাবেই তাজের গায়ে কাদা লাগানোর পর তা কিছুক্ষণের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর তাতে হালকা নুন ও কিছু উপযুক্ত জৈব রাসায়নিকের মিশ্রণ ব্রাশের সাহায্যে মার্বেলের গায়ে লাগানো হয়ে থাকে। এরপর সেই জায়গাটি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। কাদামাটি শুকিয়ে গেলে তা নিজে থেকেই ঝরে পড়ে। তারপরেও কাদা মাটি লেগে থাকলে তা ব্রাশ এবং বিশুদ্ধ জল দিয়ে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।