সংক্ষিপ্ত
ব্লুক্রাফট ডিজিটালের সিইও অখিলেশ মিশ্র তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া এক্স এর পোস্টে বলেছেন, 'যে সব দাতারা এখনও পর্যন্ত আইনি গ্যারান্টির অধীনে কাজ করেছেন তাদের আইনি অধিকারের অবস্থা কী?
সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ড বাতিল করেছে। এটি অসাংবিধানিক বলেও জানিয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনী বন্ড নিয়ে যাবতীয় তথ্য প্রকাশের নির্দেশও দিয়েছে ব্যাঙ্ক ও নির্বাচন কমিশনকে। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ব্লুক্রাফট ডিজিটালের সিইও অখিলেশ মিশ্র তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া এক্স এর পোস্টে বলেছেন, 'যে সব দাতারা এখনও পর্যন্ত আইনি গ্যারান্টির অধীনে কাজ করেছেন তাদের আইনি অধিকারের অবস্থা কী? দাতারা যখন এই নির্বাচনী বন্ডগুলি কিনেছিলেন তখন তাদের আইনি গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছি যে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে না। তাই তারা কোনও দ্বিধা ছাড়াই এই বন্ডগুলি কিনেছিলেন।' তিনি আরও বলেছেন, বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে। সেখানে দাতাদের নাম প্রকাশের কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে দাতাদের অধিকার লঙ্ঘন করা হবে না? তিনি আরও বলেছেন ভারতের নাগরিক, যারা সার্বভৌম্য আইনি গ্যারান্টির ভিত্তিতে এই কাজ করেছিল। তারপরই তিনি প্রশ্ন করেন সংসদ যে আইন করে তার কি কোনও পবিত্রতা নেই। এই নাম প্রকাশের ঘটনা সমস্যা তৈরি করতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি বিজেপি সরকার নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প চালু করেছিল। রাজনৈতিক দলগুলিতে অনুদান দেওয়ার বিকল্প হিসাবে রাজনৈতিক তহবিলে স্বচ্ছতা আনার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে এটি চালু করা হয়েছিল। এই স্কিমের শর্তানুযায়ী, ভারতের যে কোনো নাগরিক বা দেশে নিযুক্ত বা নিগমিত কোনো কোম্পানি নির্বাচনী বন্ড কিনতে পারবে। যে কেউ নির্বাচনী বন্ড ক্রয় করতে পারেন একা বা অন্য ব্যক্তির সঙ্গে যৌথভাবে। নির্বাচনী বন্ড স্কিমেকে অসাংবিধানিক বলা চিহ্নিত করে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ একটি নির্দেশ জারি করেছে। তাতে বন্ড ইস্যুকারী স্টেটব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে অবিলম্বে কার্যকরভাবে নির্বাচনী বন্ড ইস্যু করা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে নির্দেশ দিয়েছে ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত কেনা নির্বাচনী বন্ডের বিশদ আগামী ৬ মার্চের মধ্যে ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আগাী ৩১ মার্চ ২০২৪ সালের মধ্যে সেই তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।