সংক্ষিপ্ত
- আরও নড়বড়ে মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার
- এমনিতেই মন্ত্রিত্ব নিয়ে শরিকি ক্ষোভ রয়েছে
- তার উপর আঘাত করল সাভারকর নিয়ে মতানৈক্য
- নাম না করে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন সঞ্জয় রাউত
আরও সমস্যা বাড়ল মহারাষ্ট্রের আগাড়ি সরকারের। সাভারকরকে নিয়ে প্রথম থেকেই অস্বস্তিতে ছিল কংগ্রেস ও শিবসেনা। সেই ফাটল আরও চওড়া হল মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের সাভারকর-কে প্রকাশিত পুস্তিকাকে কেন্দ্র করে। শুক্রবার নাম না করেই সাভারকরের দেশপ্রেম এবং বীরত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কংগ্রেস দলের কড়া সনালোচনা করলেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত।
মহারাষ্ট্র সরকারের জোটসঙ্গী কংগ্রেস বারবার সাভারকর-কে নিয়ে প্রশ্ন তুললেও, এদিন সঞ্জয় রাউত সাফ জানান, বীর সাভারকর একজন মহান ব্যক্তি ছিলেন। আর সবসময়ই মহান ব্যক্তি হিসাবেই তিনি গন্য হবেন। কংগ্রেসের নাম না নিয়ে তিনি বলেন, 'একটি অংসের মানুষ তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলছে। এটি তাদের কর্দমাক্ত মনের পরিচয়'।
বৃহস্পতিবার ভোপালে কংগ্রেসের সেবাদলের বৈঠকে, কর্মীদের মধ্যে 'বার সাভারকর কিতনে বীর' নামে একটি হিন্দিতে লেখা পুস্তিকা বিতরণ করা হয়। সেখানে সাভারকর সম্পর্কে বেশ কিছু মারাত্মক অভিযোগ আনা হয়।
- তিনি সমকামী ছিলেন, গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরান গডসের সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক ছিল।
- হিন্দু পুরুষদের তিনি সংখ্যালঘু নারীদের ধর্ষণ করতে উৎসাহ দিতেন।
- আরএসএস ও সাভারকর-এর জন্যই দেশভাগ হয়েছিল।
এরপরই এই নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিল শিবসেনা। ভোপালের বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী এই নিয়ে পুরনো এনডিএ সঙ্গী শিবসেনাকে একহাত নিতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, উদ্ধব ঠাকরের নীরবতা ভেঙে পদত্যাগ করা উচিত। তিনি ক্ষমতা চান না সাভারকরের মর্যাদা রক্ষা করতে চান, তা ঠিক করতে হবে।
সাভারকরকে নিয়ে অবশ্য মহারাষ্ট্রে জোট গঠনের সময় থেকেই দুই দলের মধ্য়ে অস্বস্তি ছিল। গত মাসে রাহুল গান্ধী প্রকাশ্য সভায় বলেন তাঁর নাম রাহুল সাভারকর নয়, যে তিনি ক্ষমা চাইবেন। সেই সময় থেকেই মহারাষ্ট্রের সরকার টলমল করছে। এর মধ্যে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো মন্ত্রীত্ব নিয়ে এনসিপি ও কংগ্রেস দলের ভিতরে ক্ষোভ শুরু হয়েছে।