সংক্ষিপ্ত

নীতি আযোগের বৈঠকে অনুপস্থির আট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দায়িত্বজ্ঞানহীন ও জনবিরোধী বলে তোপ বিজেোপির। কড়া সমালোচনা রবিশঙ্কর প্রসাদের।

 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়াই শুরু হয়েছে নীতি আয়োগের বৈঠক। উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, বৈঠকে গরহাজিরার তালিকাটাও বেশ কিছুটা লম্বা। কারণ বৈঠকে আসেননি নীতিশ কুমার, কেসিআর-এর মত অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা। যাইহোক মুখ্যমন্ত্রীদের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। নীতিআয়োগের বৈঠক বয়কট করায় বিজেপি সংশ্লিষ্ট মুখ্যমন্ত্রীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও জনবিরোধী বলে অভিহিত করেছে।

শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে ভারতকে ১৯৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য, দক্ষতা উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ একাধিক বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। নীতি আয়োগের বৈঠক চলাকালীনই দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে বলে বয়কট করা মুখ্যমন্ত্রীদের এক হাত নেন বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের পরিকাঠামো তৈরির জন্য নীতি আয়েগের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। এখানেই তৈরি করা হয় ব্লুপ্রিন্ট। আষ্টম গর্ভনিং কাউন্সিলের সভায় ১০০ টিরও বেশি বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু আটটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে আসেননি। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ভগবন্ত মান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতীশ কুমার, এম কে স্ট্যালিন, কে চন্দ্রশেখর রাও এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন স্বাস্থ্যের কারণ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না।

বিজেপি নেতা বলেছেন,কেন্দ্র, রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে আলোচনা আর পর্যালোচনার জন্যই নীতি আয়োগের বৈঠক ডাকা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম। এবার এই বৈঠকে ১০০টিরও বেশি বিষয় আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এত বেশি সংখ্যক মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি ঠিক নয়। কারণ তাদের রাজ্যের হয়ে কথা বলার কেউ থাকছে না। মুখ্যমন্ত্রীদের এই সিদ্ধান্তকে রবিশঙ্কর প্রসাদ 'দুর্ভাগ্যজনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলেছেন। পাশাপাশি তাঁদের এই সিদ্ধান্তকে 'জনবিরোধী ' আখ্যা দিয়েছেন।

রবিশঙ্কর প্রসাদ আরও বলেন, যেসব মুখ্যমন্ত্রীরা এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বয়কট করেছেন তারা তাঁদের রাজ্যের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। তিনি আরও বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীদের এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের উন্নয়নের রোডম্যাপ তৈরি করতে সমস্যা হবে। আমন্ত্রণ জানানোর পরেই আপনি সভায় যোগ দিতে আসবেন না আর পরে অভিযোগ করবেন। এটা ঠিক নয়।' প্রসাদ আরও বলেন নীতি আয়োগের আগের সাতটি বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলিতে অনেক সুবিধে হয়েছে।

আরও পড়়ুনঃ

'কিছু পুলিশ অফিসার ঘুষ খায়', রাজ্য পুলিশের সমালোচনায় অর্জুনের সুর সৌগতর গলায়

New Parliament Building: নতুন সংসদ ভবন সম্পর্কে ১০টি অজানা তথ্য, সঙ্গে রইল সেরা ১০টি ছবি

'দেশের ঐতিহ্য নিয়ে কংগ্রেসের এত ঘৃণা কেন?' সেঙ্গোল ইস্যুতে কংগ্রেসকে নিশানা অমিত শাহের