সংক্ষিপ্ত
উদ্বোধনের আগেই একেবারে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো ব্রিজ। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বেগুসরাইয়ে।গণ্ডক নদীর উপর দিয়ে তৈরী হয়েছিল একটি ২০৬ মিটার লম্বা ব্রিজ রবিবার তা ভেঙ্গে পড়ল জনসমক্ষে ।
ফের মোরাবির ছায়া নেমে এলো বিহারে। উদ্বোধনের আগেই একেবারে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো ব্রিজ। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বেগুসরাইয়ে। সেখানে গণ্ডক নদীর উপর দিয়ে তৈরী হয়েছিল একটি ২০৬ মিটার লম্বা ব্রিজ। সেতুটি বানাতে খরচ পড়েছিল প্রায় ১৩ কোটি টাকা। প্রধানত বিহারের দুই প্রান্তের মধ্যে যাতায়াতের সুবিধার্থেই বিহার সরকারের অনুমোদনে তৈরী হচ্ছিলো এই ব্রিজ।
কিন্তু বিপত্তি ঘটলো রবিবার সকালে। ব্রিজের সামনের অংশটি হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে গেলো পড়ে। ব্রিজের উপরে বা নিচে কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের খবর এখনও অবধি পাওয়া না গেলেও। ব্রিজটি ঠিক কি করণে পড়লো তা খতিয়ে দেখতে ইতি মধ্যেই শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত।
মুখ্যমন্ত্রী-নাবার্ড প্রকল্পের আওতায় এই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। ২০১৭ এর মধ্যে নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলেও,ব্রিজ তৈরির কিছুদিনের মধ্যেই এর সামনের অংশে দেখা দিয়েছিলো ফাটল। যাত্রী সুরক্ষার তাগিদে বিষয়টি সেতু নির্মাণকারী সংস্থার দৃষ্টিগোচরে আনা হলে , কর্তৃপক্ষ নড়ে ছোড়ে বসলেও ,সেতুর রক্ষনা বেক্ষন কতটা ঠিকই মতো করেছেন তারা সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আকৃতি তোলা চৌকি ও বিষাণপুরের মাঝের এই সেতু হঠাৎ ভেঙে পড়ায় সেখানকার স্থানীয় আরজেডি বিধায়ক সত্যানন্দ সম্বুদ্ধ ওরফে লালন যাদব বলেন, 'সেতু নির্মাণে গাফিলতি হয়েছিল। সকালে ভেঙে পড়েছে সেতুটি। উদ্বোধন না হওয়ায় এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।'
বিগত বেশ কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া মরবি কাণ্ডের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন এখানে অনেকেই। মরবি কান্ড ঘটার পর কোর্ট থেকে সুও মোতো করে , তদন্ত কমিটি ঘঠন করে যে তদন্ত করা হয়েছিল সেই তদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে ব্রিজ নির্মাণের কন্ট্রাক্ট একটি ঘড়ি তৈরির কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল যেকারনেই ঘটে এমন বিপত্তি। তবে বিহারের এই কাণ্ডের তদন্ত থেকে কি উঠে আসে তা জানতে আগ্রহী সকলেই।
আরও পড়ুন