সংক্ষিপ্ত
তিন তালাকের মামলা তুলতে হবে দাদার বিরুদ্ধে।
বৌদির কাছে এমনই দাবি দেওয়ের।
রাজি না হতেই বেরিয়ে এল অ্যাসিডের বোতল।
ছপাক পার্ট টু বানিয়ে দেওয়ার হুমকি।
অ্যাসিড আক্রান্ত মহিলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁকে এই বিষয় নিয়ে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতেও উদ্যোগী হতে দেখা যাচ্ছে। এই নিয়ে চারিদিকে হইচই হচ্ছে বিস্তর। কিন্তু, তারপরেও অ্যাসিড আক্রমণ বা আক্রমণের হুমকি-তে লাগাম নেই। বরং এবার তাঁর 'ছপাক' সিনেমার নাম তুলেই 'পার্ট টু' বানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হল উত্তরপ্রদেশের এক গ্রামে।
গত বছর জুলাই মাসে কানপুরের কাছের সুলতানগঞ্জ গ্রামের এক মহিলার বিবাহ হয় বাবুপূর্ব গ্রামের নুরজাদে-র সঙ্গে। মহিলা অভিযোগ করেছেন বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই তাঁর স্বামি ও তার পরিবার ৫ লক্ষ টাকা পণ চান। তাঁর বাড়ি থেকে ওই টাকা না দিতে পারায় শুরু হয় তাঁকে হেনস্থা করা। একমাস আগে মুরজাদে তাঁকে তাৎক্ষণিক তিন তালাক দেন। এরপরই বাবুপূর্ব থানায় ওই মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন। জেল খাটার ভয়ে নুরজাদে সৌদি আরবে পালিয়েছে বলে অভিযোগ। ওই মহিলা সুলতানগঞ্জে তাঁর বাপের বাড়ি ফিরে আসেন।
সেই থেকে তাঁর বাপের বাড়ি এসে নুরজাদের ভাই তথা তাঁর দেওর তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে বিভিন্নভাবে অভিযোগটি তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করে বলে দাবি করেছেন ওই মহিলা। দুদিন আগে ৩-৪ জন বন্ধু নিয়ে এসে ফের একইভাবে চাপ দিতে থাকে সে। কিন্তু ওই মহিলা কিছুতেই রাজি না হওয়ায় সে একটি অ্য়াসিডের বোতল বাগিয়ে ধরে 'ছপাক পার্ট টু বানিয়ে দেব', বলে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা ও তার পরিবারের।
এই ঘটনাও পুলিশকে জানান ওই মহিলা। আর তারপর থেকেই পলাতক নির্যাতিতার দেওর ও তার বন্ধুরা। বাবুপূর্ব থানার ইন্সপেক্টর রাজীব সিং বলেছেন, কালপ্রিটকে ধরতে তাঁরা একটি বিশেষ দল গঠন করেছেন। তবে সে ধরা না পড়া পর্যন্ত প্রচন্ড ভয়ে আছেন তার বৌদি।