সংক্ষিপ্ত

ইয়েদুরাপ্পার পদত্যাগ কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলতে চলেছে বিজেপির জনপ্রিয়তায়। প্রভাবশালী লিঙ্গায়েতরা বিরোধিতা করতে পারেন বলেও আশঙ্কা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। 
 

দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা জল্পনার অবসান  ঘটিয়ে অবশেষে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মনে তাঁর এই পদত্যাগ ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই সুযোগ যদি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে কংগ্রেস আর জনতা দল সেকুলার (JDS), তাহলে  জোটের জয় রুখতে পারবে না কোনও তৃতীয় শক্তি। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিরাগত বলার অভিযোগ, KLO নেতার বিরুদ্ধে UAPA ধারায় মামলা দায়ের

মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এইচ মুজাফফর আসাদি জানিয়েছেন বিজেপি কয়েক বছর ধরেই কর্নাটকের ক্ষমতার শীর্ষে ছিল। ব্রাহ্মণ, বানিয়া, বিল্লা সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে আস্থাও অর্জন করেছিল। কিন্তু দলিত , পিছিয়ে পড়া আর সংখ্যালঘুদের মধ্যে ক্রমশই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছিল বিজেপি। অথচ এই সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যাই রাজ্যের ৫০ শতাংশ। তাই কিছুটা হলেও জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে পড়তে শুরু করেছে বিজেপি। আসাদি আরও বলেছেন প্রথম থেকে লিঙ্গায়েতের প্রতিনিধি ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে। বর্তমানে মুট্ট শ্রীর একজন বলেছেন তাঁদের কংগ্রেসকে সমর্থন করতে কোনও সমস্যা নেই। তাঁরা বলেছেন তাঁরা বিজেপিকে শিক্ষা দিতে চান। বিজেপির ভোট ভাগের রাজনীতি সামাজকে সংকুচিত করেছে। 

পাখির চোখ ২০২৪, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দিল্লি সফর ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে

ইয়েদুরাপ্পা প্রবল দাপটের সঙ্গেই কর্নাটকের শাসনভার পরিচালনা করতেন। প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চন্দন গৌড় বলেন ইয়েদুরাপ্পা লিঙ্গায়েতদের কখনও একত্রিত করতে পারেননি। জেএইচ প্যাটেল কখনও লিঙ্গায়াত ছিলেন না। যদিও তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু তবে সব ধর্মের মানুষ তাঁকে সমর্থন করত। কিন্তু ইয়েদুরাপ্পা যা সিদ্ধান্ত নেন তা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। যা পরোক্ষে ক্ষতি করছিল বিজেপির। 

Karnataka News : পদত্যাগ করলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা ...

কর্নাটকের অপর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ গওদা বলেছেন মুট্ট নেতারা ইয়েদুরাপ্পার মেয়াদ পূর্ণ করার জন্য বিজেপিকে সময় দেওয়ার কথাও বলেছিল। কিন্তু তাতে তেমন কোনও লাভ হয়নি। তবে এটাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ-জেপি নাড্ডা কীভাবে ইয়েড্ডির প্রস্থান পর্বটি পরিচালনা করেন। তাঁরা ইয়েদুরাপ্পাকে প্রয়োজনে কিছু শর্ত দিতে পারেন। প্রয়োজনে তাঁকে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রাখা হতে পারে। ইয়েদুরাপ্পার বিষয়ে কোনও কিছুই হালকাভাবে নিতে রাজি নন চন্দন গৌড়। তবে ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভার ১২ জন মন্ত্রীর ভাগ্যও ঝুলে রয়েছে। ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গেই তাঁর ঘনিষ্টদের সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। 

তবে এটাই কংগ্রেসের ফিরে আসার সুবর্ণ সময়। কারণ কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলাসহ একাধিক বিষয় নিয়েই কংগ্রেস আন্দোলন শুরু করতে পারে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে।  কংগ্রেস ও জেডিএস-এর নির্বাচিত সরকারই ফেলে দেওয়া হয়েছিল বিএস ইয়েদুরাপ্পার কূটনৈতিক চালে। এটাই ফিরে আশার প্রস্তুতি শুরু করার বিশেষ সময় বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক দলগুলি।