সংক্ষিপ্ত

  • সংঘর্ষ বিরতিলঙ্ঘনের অভিযোগ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে
  • পাক গুলিতে নিহত ভারতীয় জওয়ান
  • আহত জওয়ান গুরুতর অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে 
  • পাকগুলিতে জখম ৩ শিশুসহ ৬ ভারতীয় 

শুক্রবার দুপুরে জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা সেক্টরে  পাকিস্তানি সেনার গুলিতে মাথা এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায় বিএসএফ জওয়ান রাকেশ ডোভালের। গুরুতর চোট পেয়েছেন আরও এক জওয়ান। সেনা সূত্রের খবর সীমান্তের ওপরা থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। আর সেই কারণেই যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করে প্রচুর পরিমাণে গুলি, মর্টার ছোঁড়া হয়। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। সেনা সূত্রে খবর বারামুল্লায় নিয়ন্ত্রণ রেখায় দায়িত্ব পালন করছিলেন বিএসএফএর এসআই রাকেশ ডোভাল।  দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে পাক বাহিনীর ছোঁড়া  গুলি লাগে তাঁর মাথায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  কিন্তু তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। রাকেশের বাড়ি হিমালচল প্রদেশের গঙ্গানগরে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও এক বিএসএফ জওয়ান। সংকট জনক অবস্থার তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে জানান হয়েছে সেনাবাহিনীর সূত্রে। তাঁর হাতের চোট গুরুতর বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তের তিনটি সেক্টরে এদিন সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। গোয়েন্দা সূত্রে খবর জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার জন্যই যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। কেরান সেক্টরে গুলিগোলা চলে। পাকসেনার যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘনের পরই কুপআয়ারাতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। কেরান সেক্টরে এদিন দুপুর থেকে চরম গোলাগুলি চলে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী।  


সেনা সূত্রে খবর শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের কেরান সেক্টর ছাড়াও সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করা হয়েছে আরও দুটি সেক্টরে। প্রথমে বন্দিপোরা জেলার গুরেজ সেক্টরের ইজমার্গে হামলা চালান হয়। তার মিনিটখানের পরেই কুপওয়ারা জেলার কেরান সেক্টপরে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে। এখানে সবথেকে বেশি সময় ধরে সিজফায়ার করা হয়েছিল বলে সেনা সূত্রে খবর। তৃতীয় ঘটনাটি ঘরে বারামুল্লার উরি সেক্টরে।  সেখানে ভারতীয় বাহিনীর দিকে গুলি চালান হয় পাকিস্তানের দিক থেকে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রতিটিক্ষেত্রে পাকিস্তানকে পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। তেমনই দাবি করছে সেনাবাহিনীর একটি সূত্র। গোটা এলাকায় বাড়ান হয়েছে নিরাপত্তা। এদিনে পাক সেনার যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘনের কারণে পুঞ্চ এলাকার বাসিন্দা তিন শিশুসহ ৬ নাগরিক আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন তাঁরা রীতিমত ভয় পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিৎ বলেও জানিয়েছেন তিনি।