সংক্ষিপ্ত
- দিল্লি পুলিশের তীব্র সমালোচনা রাহুল প্রিয়াঙ্কার
- রাহুল বললেন ব্রিজি তৈরি করুক সরকার
- প্রিয়াঙ্কা বললেন যুদ্ধ ঘোষণা করছেন মোদী
- নিরাপত্তা বাড়াতে কঠোর হয়েছে দিল্লি পুলিশ
কৃষক আন্দোলন নিয়ে আরও একবার কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিল্লির সীমানা এলাকার বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে তিনি ক্যাপশন দিয়েছিলেন, সরকার ব্রিজ তৈরি করুক, কিন্তু দেওয়াল তৈরি করা যাবে না। অশান্তি এড়াতে দিল্লির সীমানায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ সিমেন্টের দেওয়াল তৈরি করেছে। রাস্তায় বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে পেরেক। এই ঘটনারই তীব্র নিন্দা করেছেন রাহুল গান্ধী।
উত্তর প্রদেশ দিল্লি সীমানায় গাজিপুর মীরাট হাইওয়েতে প্রায় চর স্তরীয় ব্যারিকেড তৈরি করেছে দিল্লি পুলিশ। স্থানীয় প্রশাসনের মূল উদ্দেশ্যই হল আন্দোলনকারী কৃষকদের দিল্লিতে অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়া। একই ছবি দিল্লি হরিয়ানা সীমানার সিংহুতে। সেখানেই সিমেন্টের দেওয়াল তৈরি হয়েছে। রাস্তায় বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে পেরেক। অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে টিকরি বর্ডারও। কৃষকদের আটকাতে দিল্লি পুলিশের এই কড়া পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাহুল গান্ধী।
গত সপ্তাহেই রাহুল গান্ধী মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের আক্রমণ করে ভারতকে দুর্বল করেছেন। কৃষক ও শ্রমিকরা দুর্বল হলে দেশবিরোধী শক্তিরাই উপকৃত হবে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। দিল্লি পুলিশের কড়াকড়ি নিয়ে শুধু রাহুল গান্ধী নয় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও সরব হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি ব্যারিডেকেডের ছবি দিয়ে ক্যাপসন দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেদের কৃষকদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন?
কৃষক সমস্যা সমাধানে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকবার আলোচনার টেবিলে বসেছেন আন্দোলনকারী কৃষক ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। শেষ বৈঠকে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর প্রস্তব দিয়েছিলেন আগামী এক থেকে দেড় বছরের জন্য স্থগিত রাখা হচ্ছে কৃষি আইন। তারমধ্যে আলোচনা চলতে পারে। কিন্তু কৃষকরা কেন্দ্রের সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। নতুন তিনটি আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই তাঁরা সরব রয়েছে। এরই মধ্যে ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর ব়্যালি থেকে দিল্লিতে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনায় ৩৯৮ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছিলেন। এক প্রতিবাদী কৃষকদের মৃত্যু হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারী কৃষকদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে দিল্লি পুলিশ।