সংক্ষিপ্ত
- আদালতের রায়ে এবার রামমন্দির তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে
- কিন্তু কোনও পক্ষই যেন কোনও আঘাত না-পায়,
- হিন্দুনেতাদের বাড়িতে ডেকে বললেন নরেন্দ্র মোদী
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে পুরোমাত্রায় বজায় থাকে
আদালতের রায় পক্ষে গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু রামমন্দির নির্মাণের সময়ে যেন নতুন করে কোনও অশান্তি না-হয়, হিন্দুনেতাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে বললেন নরেন্দ্র মোদী।
রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের ট্রাস্টিদের উদ্দেশে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, রামমন্দির নির্মাণের কাজ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে চলে। কেউ যাতে কোনওরকম আঘাত না-পায়। কোনও তিক্ততার ঘটনা যাতে না-ঘটে। তাঁর কথায়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ যেন শেষ হয়। কাউকে কোনওরকম আঘাত না-করেই।
ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই বলেন, আমাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটি সৌজন্য় সাক্ষাৎ হয়। সেখানে তিনি ট্রাস্টের প্রবীণ সদস্য় নৃত্য়গোপাল রাই ও কে পরাশরনকে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর জোর দেন। বলেন, রামমন্দির নির্মাণের সময়ে যেন শান্তি বজায় থাকে। আর এমনভাবে মন্দির তৈরি করা হয়, যাতে করে কেউ যেন আঘাত না-পায়।
ট্রাস্টের চেয়ারম্য়ান নৃত্য়গোপাল দাস প্রধানমন্ত্রীকে অযোধ্য়ায় আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। নৃত্য়গোপালের কথায়, বিশ্বহিন্দু পরিষদের প্রস্তাবিদ মডেলের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হবে রামমন্দির। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলে তবেই তাকে আরও প্রশস্ত করা হবে।
জানা গিয়েছে, মন্দিরের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা বা প্ল্য়ানকে একটু কাটছাঁট করা হয়েছে তার উচ্চতা বাড়ানোর জন্য়। চালু নকশাটির বাইরেও একটি তল তৈরি হতে পারে। স্বামী গোবিন্দদেব গিরির কথায়, বিশ্বহিন্দু পরিষদের দেওয়া নকশার ভিত্তিতেই তৈরি হবে মন্দির। তবে সামান্য় কিছু পরিবর্তন হতে পারে তাতে। ট্রাস্টের আর এক সদস্য়ের কথায়, মন্দিরের কাঠামো পরিবর্তনের জন্য় আমাদের কাছে কিছু পরামর্শ এসেছে। মন্দিরের সৌন্দর্য বাড়াতেই পুরনো নকশাতে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে।