সংক্ষিপ্ত

  • সিএএ-এর সমর্থনে মুখ খুললেন মোহন ভগবত
  • বিরোধীরা মুসলিমদের বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ 
  • নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক নেই বলেও দাবি 
  • পাল্টা সওয়াল করেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি 
     

রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সংঘের বিজয় দশমীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংঘের প্রধান মোহন ভগবত নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। রবিবার ৭০ মিনিটের ভাষণে তিনি বলেন, সিএএ অর্থাৎ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কোনও নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিরোধিতা করে না। কিন্তু যারা এই আইনের বিরোধিতা করেছে তারা মুসলিমভাইদের বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছে। মুসলিমদের বিভ্রান্ত করতেই নাররিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ জানান হয়েছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেন। কিন্তু মোহন ভাগবতের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন এআইএমআইএসএর সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

 

এদিন সংঘের প্রধান মোহন ভগবত বলেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে ব্যবহার করে কিছু সুবিধেবাদী মানুষ বিক্ষোভের নামে হিংসা ছড়াচ্ছিল। কিন্তু আচমকাই করোনাভইারাসের সংক্রমণ তাদের কর্মসূচি ভেস্ত দিয়েছে। তবে  হিংসা ছড়ানোর প্রক্রিয়া আবারও নতুন করে শুরু করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায় দাঙ্গাকারী আর সুবিধেবাদীরাই এই কাজে লিপ্ত। পাশাপাশি তিনি স্বাস্থ্যকর রাজনৈতিক প্রতিযোগিতাকে স্বাগত জানিয়েছেন। আর বলেছেন ঘৃণা আর তিক্ততা সামাজিক পরিকাঠামোকে দুর্বল করে দেয়। 

কিন্তু মোহন ভগবতের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেছেন, তাঁরা শিশু নন, যে তাঁদের  বিভ্রান্ত করা যাবে। পাশাপাশি তিনি বলেন এনআরসি আর এনসি আর কী তা নিয়ে বিজেপি এখনও কোনও স্পষ্ট বার্তা দেয়নি। আর এটি যদি মুসলিমদের সম্পর্কিত না হয় তাহলে ধর্ম সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য সরিয়ে দেওয়া উচিৎ। আগামী দিনে আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

সিএএ আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই দিল্লি সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন প্রতিবাদীরা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ একাধিকবার বার্তা দিয়েছেন সিএএ কার্যকর করা হবে। এদিন সেই সুরই শোনা গেল সংঘের প্রধান মোহন ভগবতের গলায়।