সংক্ষিপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট মহিলার আবেদনে পঞ্জাব সরকারকে একটি নোটিশও জারি করেছে এবং উত্তর দাখিল করতে বলেছে। এখন এই মামলার শুনানির পর সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে ওই বয়স্ক মহিলাকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে বিচার করা হবে কি না।

একজন মহিলাকে কি ধর্ষণের মামলায় আসামি করা যায়? এই প্রশ্নটি খতিয়ে দেখতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এক মহিলার আগাম জামিনের আবেদনের শুনানির সময় এই পদক্ষেপ নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ৬১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ মহিলা ধর্ষণের মামলায় নিজের জন্য আগাম জামিন চেয়েছেন যেখানে তার ছেলেকে আসামি করা হয়েছে। ওই মহিলার বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট মহিলার আবেদনে পঞ্জাব সরকারকে একটি নোটিশও জারি করেছে এবং উত্তর দাখিল করতে বলেছে। এখন এই মামলার শুনানির পর সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে ওই বয়স্ক মহিলাকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে বিচার করা হবে কি না।

গ্রেফতার থেকে স্বস্তি পেলেন মহিলা

সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি সঞ্জয় করোলের বেঞ্চ মহিলার আবেদনের শুনানি করেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেঞ্চ। পাশাপাশি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বেঞ্চ ওই মহিলাকে তদন্ত দলকে সহযোগিতা করতে বলেছে। বেঞ্চ বলেছে, পঞ্জাব সরকারকে একটি নোটিশ জারি করা হচ্ছে, যার জবাব ৪ সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতে হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত আবেদনকারীর গ্রেপ্তার স্থগিত করা হচ্ছে, তবে তিনি অপরাধের তদন্তকারী দলকে সহযোগিতা করবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।

এর আগে, বৃদ্ধার পক্ষে উপস্থিত হয়ে অ্যাডভোকেট ঋষি মালহোত্রা তার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত এফআইআর-এর সমস্ত ধারা সম্পর্কে যুক্তি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে এফআইআর-এর সমস্ত ধারা জামিনযোগ্য। শুধুমাত্র IPC এর ৩৭৬ (২) ধারার (একটানা ধর্ষণ) অভিযোগটি জামিন অযোগ্য। এই ধারা অনুযায়ী, অভিযোগ প্রমাণিত হলে, শাস্তি ১০ বছরের কম কারাদণ্ড হতে পারে না, যা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। আইনজীবী মালহোত্রা সুপ্রিম কোর্টের একটি সিদ্ধান্তকে উদ্ধৃত করে যুক্তি দিয়েছিলেন যে একজন মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ করা যায় না। এর পরেই এই মামলাটি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।