সংক্ষিপ্ত
কংগ্রেস সূত্রের খবর যে দ্রুততার সঙ্গে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করেছিল কেন্দ্র সরকার সেই দ্রুততার সঙ্গে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ ফিরিয়ে দিচ্ছে না লোকসভার স্পিকার।
কবে থেকে সংসদের দরজা আবার নতুন করে খুলবে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর জন্য? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর থেকেই এজাতীয় প্রশ্ন ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস নেতার ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধী ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর রাহুল গান্ধীকে সাংসদে ফেরার পথ মসৃণ। তবে এখনও পর্যন্ত কিছু কাগজপত্রের কাজ বাকি রয়েছে। যেগুলি দ্রুত সারা হচ্ছে। অন্যদিকে কংগ্রেস সূত্রের খবর রাহুল গান্ধীকে যদি সংসদে ফেরাতে দেরি করে কেন্দ্র সরকার তাহলে তারা আবারও আদালতের দ্বারস্থ হবে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর যে দ্রুততার সঙ্গে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করেছিল কেন্দ্র সরকার সেই দ্রুততার সঙ্গে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ ফিরিয়ে দিচ্ছে না লোকসভার স্পিকার। এই অভিযোগ নিয়েই আবারও আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে কংগ্রেস। বিরোধীরা রাহুল গান্ধী ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করার প্রস্তুতি নিতে পারে পারে। তবে শুধুমাত্র রাহুল গান্ধী ইস্যুতে নয়, লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ পিপি মহম্মদ ফয়জালের সাংসদ পদ ফেরাতেও স্পিকার অনেক বেশি সম নিয়েছিল। তিনি ছিলেন শারদ পাওয়ারের দল এনসিপির সদস্য।
মোদী পদবী ইস্যুতে রাহুল গান্ধীর মন্তব্য়ের জন্য তাঁরে সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছিল সুরাতের আদলত। ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। তারপরই রাতারাতি তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট সুরাতের আদালতের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে। আদালত জানিয়েছিল সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার জন্য বিচারক কোনও কারণ দেখাননি। তাই এই রায় স্থগিত রাখার প্রয়োজন রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলে, সাংসদকে অযোগ্য করে দিয়ে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওপরই প্রভাব পড়ে এমনটা নয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের ওপরও তার প্রভাব পড়ে। সুপ্রিম কোর্টের এই ঘোষণার পরই রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার আর্জি আরও জোরাল করে কংগ্রেস। সামিল হয় বিরোধীরা।
মোদী পদবী মামলা
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় অর্থাৎ প্রায় চার বছর আগের দায়ের করা একটি মামলায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক পুর্ণেশ মোদী। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায়েই সুরাট আদালত রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। কর্নাটকর নির্বাচনী প্রচারে রাহুল গান্ধী ললিত মোদী ও নীবর মোদীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে বলেছিলেন, সব চোরেরদেরই পদবী মোদী।
জনপ্রতিনিধি আইনঃ
রাহুল গান্ধীকে দুই বছেরর সাজা দিয়েছে আদালত। কিন্তু জনপ্রিতিনিধি আইন অনুসারে দুই বছর বা তারও বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তিদের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। যা ছ-ছর পর্যন্ত তা কার্যকর থাকে। তবে সাজা এড়ানোর জন্য রাহুল গান্ধী উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারেন বলেও জানিয়েছে আদালত। এদিন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি আদালতকেও সাজা কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন তাঁর মন্তব্যের জন্য কারও কোনও ক্ষতি হয়নি।