সংক্ষিপ্ত

সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে এদিন রায় পড়া শুরু করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এসকে কাউল। তিনি রায় পড়া শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানবিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ চারটি পৃথক রায় দেবে।

 

সমকামী বিয়ের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মধ্যেই সমলিঙ্গের যুগলদের মধ্যে দত্তক নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু সমকামী বিয়ে বিপক্ষে রায় দিয়েছে। এই রায়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গের যুগলদের দত্তক নেওয়ার বিষয়েও তাঁদের পর্যবেক্ষণ জানায়। সেখানেই পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ দ্বিমত পোষণ করে। তিন বিচারপতি দত্তক নেওয়ার সরাসরি বিরোধিতা করে। বাকি দুই বিচারপতি দত্তক নেওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছেন। তাই রায় ৩ ২ অনুপাতে বিভক্ত হয়ে গেছে।

সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে এদিন রায় পড়া শুরু করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এসকে কাউল। তিনি রায় পড়া শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানবিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ চারটি পৃথক রায় দেবে। বিচারকদের মধ্যে একটি ডিগ্রি ও দ্বিমত রয়েছে। তিনি আদালত কতদূর যেতে পারে তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে রয়েছে সঞ্জয় কিষাণ কাউল, এস রবীন্দ্রভাট, হিমা কোহলি ও পিএস নরসীমা। রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি সঞ্জয় কাউল বলেন, সমলিঙ্গের যুগলদের সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকার পাওয়া উচিৎ। কিন্তু এই বিষয়ের বিরোধিতা করেন, বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি পিএস নরসিমা।

সমলিঙ্গের বিয়ের বৈধতা দেওয়া হবে কিনা এই বিষয়ে রায় ঘোষণায় সন্তান দত্তকের বিষয়টি উঠে আসে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, শুধুমাত্র বিসমকামী যুগলরাই অভিভাবক হতে পারে এমনটা অনুমান করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, সমলিঙ্গের যুগলদেরও দত্তক নেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটি। তাদের এই বাধা সংবিধানেরর ১৫ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে।

সমলিঙ্গের বহু মানুষ তাঁদের সম্পর্কের আইনি স্বীকৃতি ও বিয়ের অধিকার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন করেছে। ভারতে সমলিঙ্গের বিয়ে বৈধ কিনা তা নিয়ে রায় দিতে গিয়ে দুইভাগে ভাগ হয়ে যায় সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিলেও বিয়ের পক্ষে রায় দেয়নি। এই বিষয়ে কেন্দ্রের কমিটিকে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে সাংবিধানিক বেঞ্চ। আইনসভার হাতেই গোটা বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।