সংক্ষিপ্ত
বুধবার বিকেলে, দুই অভিযুক্ত মনোরঞ্জন ডি এবং সাগর শর্মা লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে হাউসে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং রঙিন টিয়ার গ্যাস ফাটায়। এই ঘটনায় সাংসদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
বুধবার, দিল্লি পুলিশ UAPA ধারার অধীনে সংসদের নিরাপত্তার ত্রুটি নিয়ে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। দিল্লি পুলিশ এই বিষয়ে কঠোর ভাবে তদন্ত শুরু করেছে এবং সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে।
বুধবার বিকেলে, দুই অভিযুক্ত মনোরঞ্জন ডি এবং সাগর শর্মা লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে হাউসে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং রঙিন টিয়ার গ্যাস ফাটায়। এই ঘটনায় সাংসদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সাংসদরা অভিযুক্তদের ধরে মারধর করেন। এরপর তাদের সংসদে উপস্থিত মার্শালের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অন্যদিকে, তার সহকর্মী নীলম এবং অমল শিন্ডে রঙিন টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেন এবং সংসদ ভবনের বাইরে স্লোগান দেন। এরপর বাইরে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে হেফাজতে নেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ললিত ও বিশাল শর্মা নামে চিহ্নিত অন্য দুই অভিযুক্তও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। বিশালকে হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে আটক করা হয়েছিল, আর ললিত বর্তমানে পলাতক।
পুলিশ জানিয়েছে- সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন একটি পরিকল্পিত ঘটনা
পুলিশ জানিয়েছে, ২৫ বছর বয়সী শিন্দে মহারাষ্ট্রের লাতুর জেলার তার গ্রাম ছেড়েছিলেন এই বলে যে তিনি সেনা নিয়োগ অভিযানে অংশ নিতে দিল্লি যাচ্ছেন। হরিয়ানার নীলমের সাথে শিন্ডে সংসদের বাইরে 'স্বৈরাচার চলবে না', 'ভারত মাতা কি জয়' এবং 'জয় ভীম, জয় ভারত' স্লোগান তোলেন।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে যে সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন একটি পরিকল্পিত ঘটনা ছিল, যেখানে যুক্ত ছিল ৬জন। এদের সকলেরই ইনস্টাগ্রাম এবং অন্যান্য সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একে অপরের সাথে যোগাযোগ ছিল। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা কয়েকদিন আগে পরিকল্পনা করেছিলেন এবং বুধবার সংসদে আসার আগে রেইকি করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, 'পার্লামেন্টে আসার আগে তাদের মধ্যে পাঁচজন গুরুগ্রামে বিশালের বাড়িতে থেকেছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ছয়জনই সংসদের ভেতরে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পাস পেয়েছেন মাত্র দুজন।
নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার পর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বিকেল চারটায় সব দলের নেতাদের বৈঠক ডেকেছেন। হাউসে বিরোধী দলের সদস্যদের স্লোগানের মধ্যেই বৈঠক ডাকার কথা জানান বিড়লা। তিনি বলেন, আপনাদের সবার পরিস্থিতি বুঝতে পারছি, এ বিষয়ে বিকেল চারটায় সব দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। এর পরে, বিড়লা আনুমানিক আড়াইটে নাগাদ বিকাল ৪টা পর্যন্ত সংসদের কার্যবিবরণী স্থগিত করেন।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।