সংক্ষিপ্ত

  • পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে পাচার হয়ে চলেছে গবাদি পশু
  • এ রাজ্যের পাচারকারীরা গবাদি পশুর গলায় কলাগাছ বেঁধে দিয়ে নদীতে ভাসিয়ে দেয়
  • ফলে বাংলাদেশের পাচারকারীরা খুব সহজেই সেই গবাদি পশুদের ধরে ফেলতে পারে
  • গবাদি পশুর পাচার রুখতে তাই কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএসএফ

পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে পাচার হয়ে চলেছে গবাদি পশু। গবাদি পশু পাচারের এই বাড়বাড়ন্ত রুখতে আরও কড়া পদক্ষেপ নিল বিএসএফ। সীমান্তে জলপথে গবাদি পশুর পাচার রুখতে এবার আরও বেশি সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হল সীমান্তে।

গবাদি পশুর পাচার নিয়ে বিএসএফদের তরফে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য়। তাঁরা জানিয়েছেন, এ রাজ্য থেকে পাচারকারীরা গবাদি পশুর গলায় কলাগাছ বেঁধে দিয়ে নদীতে ভাসি দেয়, যাতে বাংলাদেশের পাচারকারীরা খুব সহজেই সেই গবাদি পশুদের ধরে ফেলতে পারে। তাঁরা আরও জানিয়েছেন এইভাবে জলপথে প্রতিনিয়ত প্রায় কয়েকশো গবাদি পশুর পাচার করার চেষ্টা করা হয়। সূত্রের খবর গত এক সপ্তাহে প্রায় ১২০০টি গরু  বং মহিষকে পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করেছে বিএসএফ। অগাস্টেই বকরি ইদের উৎসব। বিএসএফদের কথায় এই সময়ে এক একটি গরু কিংবা মহিষের দাম ৮০,০০০ টাকা থেকে ১ লক্ষ ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। 

বিএসএফরা আরও জানিয়েছেন প্রতিনিয়ত যে পরিমাণ গবাদি পশু উদ্ধার করা সম্ভব হয় তা মোট সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। আর সেই কারণেই আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে  বিএসএফ। গবাদি পশুর পাচার রুখতে সীমান্তে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করতে চলেছে বিএসএফ। সেই সঙ্গে মোটর চালিত বোট, হস্ত চালিত থার্মাল প্রভৃতিরও সাহায্য নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। 

প্রসঙ্গত এযাবাৎ বিএসএফদের সঙ্গে পাচারকারীরা একাধিকবার সংঘর্ষ লিপ্ত হয়েছে। পাচারকারীদের আক্রমণের কারণে গুরুতর আহতও হয়েছে বেশকিছু বিএসএফ। বিষয়টির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতেই তাই আরও উদ্যোগী ভুমিকা পালন করছেন তাঁরা।