সংক্ষিপ্ত

ড্রাগ মামলায় ক্রমশই অস্বস্তি বাড়ছে সমীর ওয়াংখেড়ের। পদ চলে যাওয়ার পরে এবার দুর্নীতির অভিযোগ। সিবিআই অভিযোগ দায়ের করে সমীর-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে।

 

আরিয়ান খান মামলায় রীতিমত অস্বস্তিতে প্রাক্তন এনসিবি কর্মী সমীর ওয়াংখেড়ে। সিবিআই শুক্রবার সমীর ওয়াংখেড়ে-সহ চার জনের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু করে। এফআইআর দায়ের করার পরেই তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ২০২১ সালে ২ অক্টোবর কর্ডেলিয়া ক্রুজ মামলা মাদক নেওয়ার অভিযোগে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলে তৎকালীন এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। সূত্রের খবর এদিন তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই।

এনসিবি ড্রাগ অন ক্রুজ মামলায় চার্জশিটে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও ফাঁড়া কাটল না ওয়াংখেড়ের। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়ে গেল। সিবিআই সূত্রের খবর, ওয়াংখেড়ে ও তার সহযোগীরা এই মামলায় আরিয়ান খানকে না ফাঁসানোর কথা বলে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ হিসেবে চেয়েছিল। যারমধ্যে ৫০ লক্ষ টাকা জোগাড়ও করেছিল। যাইহোক সিট জানিয়েছে এই মামলায় মুম্বই, দিল্লি, রাঁচি, কানপুর-সহ প্রায় ২৯টি স্থানে তল্লাশি চালান হয়েছে। যার মধ্যে আধিকারিকদের বাড়িতেও তল্লাশি চালান হয়।

অন্যদিকে এই মামলায় সিবিআই তথ্য পেয়েছিল, এনসিবি অফিসার ওয়াংখেড়ে শাহরুখ খানের থেকে আরিয়ান খানকে না ফাঁসানোর জন্য ২৫ কোটি টাকা চেয়েছিল। যারমধ্যে ৫০ লক্ষ টাকা হস্তান্তর হয়েছিল। সমীর ওয়াংখেড়ে সেই সময় মুম্বইয়ের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর প্রধান ছিলেন। পরবর্তীকাল তাঁকে চেন্নাইয়ের করদাতা পরিষেবার মহাপরিচলক পদে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

ড্রাগ অন ক্রুজ মামলায় শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে টানা ২২ দিন জেলে থাকতে হয়েছিলয পরবর্তীকালে সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে এনসিবি আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়। অন্যদিকে ভিজিল্যান্স রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তদন্তকারীদের প্রথমিক তদন্তের পর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করা হয়। সিবিআই সূত্রের খবর,সমীর ওয়াংখেড়ে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বৃদ্ধি করতে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। নিজের পদের অপব্যবহারও করেন। তারপরই সিবিআই আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলা দায়ের করে।

তবে এই মামসায় প্রথম থেকেই অস্বস্তি ছিল সমীর ওয়াংখেড়ের। কারণ মামলা চলাকালীন তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বদলি করা হয় চেন্নাইয়ে। দায়িত্ব দেওয়া হয় ট্যাক্স প্লেয়ার সার্ভিসে ডিরেক্টর জেনারেলের পদের। অন্যদিকে আরিয়ান খান মমালায় সময় সমীর ওয়াংখেড়ের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা নবাবা মালিক। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভোযোগও তোলেন। কাস্ট সার্টিফিকেট নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে প্রতারণা করে সরকারি চাকরি পেয়েছেন। আইআরএস চাকরি পাওয়ার জন্য জাল সার্টিফিকেটও দাখিল করেছিলেন তিনি। প্রথম সমীর ওয়াংখেড়ে প্রথম রেভিনিউ সার্ভিসে জয়েন করেছিলেন। নবাব মালিকের অভিযোগ ছিল সমীর ওয়াংখেড়ে জন্মসূত্রে মুসলিম। কিন্তু রাজস্ব পরিষেবার চাকরিতে যোগদান করার জন্য তিনি জাল শংসাপত্র দাখিল করেছিলেন।