সংক্ষিপ্ত
ঘটনার কড়া নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন চিদম্বরম। তিনি বলেছেন, সিবিআই-এর দল চেন্নাইয়ে তাঁর বাসভবন, দিল্লিতে তাঁর সরকারি বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছে।
আবার সিবাইআ-এর আতশ কাচের তলায় প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে কার্তি চিদম্বরম। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা দিল্লি ও চেন্নাইয়ের বাড়িতে তল্লাশি করেছে। পাশাপাশি তাদের বেশ কিছু অফিসেও তল্লাশি চালায়। মঙ্গলবার সকালেই অবশ্য চিদম্বরমের ছেলে কার্তি লম্বা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন চিদম্বরম। তিনি বলেছেন, সিবিআই-এর দল চেন্নাইয়ে তাঁর বাসভবন, দিল্লিতে তাঁর সরকারি বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছে। সিবিআই তাঁকে একটি এফআইআর-এর কপিও দেখিয়েছে। কিন্তু সেই কপিতে তাঁর বা তাঁর ছেলের নামে কোনও অভিযোগ করা হয়েছে। সিবিআই দল তাঁর বাড়ি ও অফিস থেকেও কিছু পায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পত্তি বা কোনও জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সিবিআই ২০১১ সালে ৫০ লক্ষ টাকা কিকব্যাক পাওযার পরে ২৫০ জন চিনা নাগরিকের ভিসা সহজতর করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারই ভিত্তিতে কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। মঙ্গলবার সকালে দিল্লি ও চেন্নাইসহ একাধিক শহরে ছড়িয়ে থাকা তাদের সম্পত্তি গুলির খতিয়ে দেখে সিবিআই। একসঙ্গেই চলে তল্লাশি। আইএনএক্স মিডিয়া ও এয়ারসেল ম্যাক্সিস কেসের জন্য ফরেন ইনভেব্সমেন্ট প্রমোশন বোর্ড ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে কার্তির বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের সময় সংস্থা এই মামলার হুঁশিয়ারি পেয়েছিল।
কার্তি বলেছেন সিবিআইএর তল্লাশি নিয়ে স্তম্ভিত। সূত্রের খবর মুম্বইয়েতে তিনটি জায়গা তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। আর চেন্নাই ও শিবগঙ্গার দুটি এলাকায় অভিযান চালায় সিবিআই। এই দুটি এলাকাই তাদের সংসদীয় ক্ষেত্র।
কার্তি চিদম্বরম সিবিআইএর দায়ের করা মামলার জন্য একাধিকবার তল্লাশির মুখোমুখি হয়েছে। ২০০৭ সালে ৩০৫ কোটি টাকা বিদেশী তহবিল ছিল কার্তির নামে। সেই টাকা এসেছিল আইএনএক্স মিডিয়া গ্রুপের মাধ্যমে। আর সেই সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন চিদম্বরম। চিদাম্বরমেরদের বিরুদ্ধে ইডিও আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছিল। তারও তদন্ত চলছে।