সংক্ষিপ্ত

রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ষকদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পরপর দুটি চিঠি লিখেছিলেন। কেন্দ্র রাজ্য সরকারের দিকেই দায় চাপিয়ে জানিয়েছে, রাজ্য সরকারকেই আইন কার্যকর করতে হবে

আরজি কর ইস্যুকে সামনে রেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ষকদের দ্রুত শাস্তি চেয়ে পরপর দুটি চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা দুটি চিঠি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লিখেছিলেন। দ্বিতীয় চিঠি লেখার মাত্র ২৪ ঘণ্টার পরেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে উত্তর এল রাজ্য। সেখানে রাজ্যের ঘাড়েই দায় চাপিয়ে দেওয়া হল।

প্রথম চিঠির মত দ্বিতীয় চিঠির উত্তর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী। তিনি চিঠিতে রাজ্যের দিকেই আঙুল তুলেছেন। বলেছেন, রাজ্য সরকারকেই সেই আইন কার্যকর করতে হবে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকার কিছু বিষয় চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, 'বাংলায় ধর্ষণ ও পকসো মামলার জন্য ১১টি অতিরিক্ত ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট আছে। সেগুলিকে রাজ্য সরকার কাজে লাগাচ্ছে না। বাংলায় ৪৮ হাজার ৬০০টি ধর্ষণ ও পকসো মামলা বিচারাধীন। প্রয়োজনে ১১টি অতিরিক্ত ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট সচল করে কাজে লাগাতে পারে রাজ্য। কিন্তু তা করছে না। ' কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিঠিতে সাফ জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা চিঠি বিভ্রান্তকর। যা দেখে মনে হচ্ছে রাজ্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টগুলি কাজে লাগাতে না পারার বিষয়টিকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

 

 

আরজি কর-কাণ্ডে এর আগেই গত ২২ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে তিনি ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন লাগু করার বিষয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। এবার ২৯ অগাস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয় বার একই ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন। দ্বিতীয় চিঠির শুরুতে তিনি আগের চিঠির উত্তর না পাওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দ্বিতীয় চিঠিতে লিখেছেন, 'অত্যান্ত স্পর্শকাতর বিষয়ে লেখা সেই চিঠির কোনও জবাব এখনও পর্যন্ত আসেনি। ' তবে মমতা জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদীর পাশিপাশি কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকেও চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেই চিঠির একটি উত্তর পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।

আগের চিঠির মত এই চিঠিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ধর্ষণ রুখতে সংসদে নতুন বিল পাশ করানোর কথা বলেছেন। ধর্ষকদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন। ধর্ষণ রুখতে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বর্তমানে দেশে মহিলাদের ওপর যৌন হেনস্থার ঘটনা বাড়ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠান প্রথম চিঠিতে মমতা ধর্ষণকাণ্ডে ফার্সট্র্যাক কোর্ট গঠন করে ১৫ দিনের মধ্যে যাতে অপরাধীকে সাজা দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করার পক্ষে সওয়ালকরেন। যদিও সেই চিঠির উত্তরে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এই রাজ্যে ১২৩টি ফাস্টট্র্যাক কোর্টের প্রস্তাব দেওয়া হলেও রাজ্য সরকার অধিকাংশই বাস্তবায়িত করেনি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।