সংক্ষিপ্ত
রোভার প্রজ্ঞান জানিয়ে দিল চাঁদের মাটিতে রয়েছে অক্সিজেন আর সালফার। হাইড্রোজেন রয়েছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এক সপ্তাহ হল চাঁদের মাটিতে সফল অবতরণ করেছে চন্দ্রযান ৩। কাজ শুরু করেছে রোভার প্রজ্ঞান। ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করেছে রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদের পৃষ্ঠে সালফারের উপস্থিতি রয়েছে। যা নিশ্চিত করেছে প্রজ্ঞান। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তেমনটাই দাবি করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
ইসরো জানিয়েছে, 'ইন-সিটু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা অব্যাহত রয়েছে। রোভারে থাকা লেজার ইনডুসজ ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ যন্ত্রটি দ্ব্যার্থহীনভাবে চাঁদের দক্ষিণমেরুর পৃষ্ঠে সালফার-এর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। মেরু প্রথমবারের মত ইন-সিটু পরিমাণের মাধ্যমে।' মহাকাশ সংস্থা আরও জানিয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে হাইড্রোজেনের অনুসন্ধান চলছে। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, ইসরো আরও বলেছে যে প্রজ্ঞান রোভারটি প্রত্যাশিত হিসাবে অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফেরাস, ক্রোমিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন এবং অক্সিজেনও সনাক্ত করেছে।
LIBS হল একটি বৈজ্ঞানিক কৌশল। একটি তীব্র লেজার পালস দিয়ে খণিজগুলির সংমিশ্রণ পরিমাপ করা হয়।
দিন কয়েক আগেই চাঁদের মাটির তাপমাত্রা পরিমাণ করেছিল চন্দ্রযান ৩। তারপরই রোভার প্রজ্ঞান জানিয়ে দিল চাঁদের মাটিতে রয়েছে অক্সিজেন আর সালফার। হাইড্রোজেন রয়েছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চাঁদের মাটির তাপমাত্রা নিয়ে ইসরো বলেছিল মাটির গভীরতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা হ্রাস পায়। ইসরো সূত্রের খবর, সৌর চালিত প্রজ্ঞান রোভার ও বিক্রম ল্যান্ডারের পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এই মিশনটি আরও সাত দিন বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে।
এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কোনও তথ্য বিশ্বের সামনে আসবে ভারতের প্রজ্ঞান রোভারের মাধ্যমে। গোটা বিশ্বের কাছে চাঁদের মাটি বর্তমানে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু তৈরি হয়েছে। ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ বলেছেন দক্ষিণ মেরুতে পরীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল কারণ এই এলাকাটি সূর্য থেকে কম আলো পায়। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই মানুষের উপনিবেশ হওয়াহ সম্ভাবনা থাকতে পারে। যারা এই বিষয়ে কাজ করছেন তাঁরা দক্ষিণ মেরু নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। এই জায়গা নিয়ে অনেক দিন ধরেই আনেক গবেষণা হয়েছে দূর থেকে।
ভারতের চন্দ্র মিশন সফল। চন্দ্রযান ৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে। রোভার প্রজ্ঞান চাঁদ থেকে একাধিক প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় ইসরো সূর্য মিশন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দিল। ইসরো জানিয়েছেন আগামী ২ সেপ্টেম্বর সূর্যের দিকে পাড়ী দেবে ইরসোর তৈরি মহাকাশযান। ইসরো জানিয়েছে আগামী ২ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে শ্রীহরিকোটা থেকে লঞ্চ করবে Aditya-L1। চন্দ্রযান-৩ এর মতই ইরসো এই মিশনও দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। ইসরো ইতিমধ্যেই মিশনটি পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত লঞ্চ ভিউ গ্যালারি থেকে এর উৎক্ষেপণ হবে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমেয়ই এটি দেখা যাবে। ইসরোর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকেও এই মিশন সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।