সংক্ষিপ্ত

আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মহাকাশে পাড়ি জমাবে চন্দ্রযান মহাকাশযান। ওড়িশার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশে পাড়ি জমাবে চন্দ্রযান।

 

শুক্রবার উৎক্ষেপণের পর ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটিতে অবতরণের কথা চন্দ্রযানের। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই চন্দ্রযানের অবতরণের কথা রয়েছে। চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের মাটিতে মহাকাশযান অবতরণ করাতে চলেছে ভারত। মহাকাশযানের 'সফট ল্যান্ডিং' অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এর আগে মঙ্গলে অভিযানের সময় 'সফট ল্যান্ডিং' করতে পারেননি ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এবার সফল হওয়ার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ইসরোর পরিকল্পনা অনুযায়ী, চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণের পর রোভারের মাধ্যমে অনুসন্ধান চালানো হবে।

চন্দ্রযান ৩ অভিযানের আগে ২ বার চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছে ইসরো। প্রথম অভিযান হয় ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর। এই অভিযানে প্রাথমিকভাবে চাঁদের মাটিতে জল আবিষ্কার হয়। এরপর আরও অনেক আবিষ্কার হয় এই অভিযানে। ইসরোর দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান হয় ২০১৯ সালের ২২ জুলাই। এবার মহাকাশযান পৌঁছে যায় চাঁদের কক্ষপথে। চাঁদের মাটি থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার উপরে মহাকাশযানের সঙ্গে ইসরোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এবার তৃতীয় অভিযান সফল হবে বলেই আশা ইসরোর। দেখুন লাইভ ভিডিও--- 
YouTube video player

শুক্রবার দুপুর ২টো বেজে ৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে শুরু হবে এই অভিযান। লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-৩-এর মাধ্যমে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে মহাকাশযান। টেলিভিশনে এই অভিযান সরাসরি দেখা যাবে দূরদর্শনে। মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ বা ট্যাবে সরাসরি এই উৎক্ষেপণ দেখা যাবে ইসরোর ইউটিউব চ্যানেলে। এছাড়া যাঁরা সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে গিয়ে সরাসরি এই অভিযান দেখতে চান, তাঁরা ইসরোর ওয়েবসাইট ivg.shar.gov.in-এ রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে লঞ্চ ভিউ গ্যালারিতে গিয়ে উৎক্ষেপণ দেখতে পারেন।

দক্ষিণ কলকাতার গুরুসদয় রোডে বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামেও সরাসরি চন্দ্রযান ৩ অভিযান দেখানো হবে। বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা এই অভিযান দেখতে যাবেন। সরাসরি চন্দ্রযান ৩ অভিযান দেখানোর পাশাপাশি চাঁদ ও ইসরোর চন্দ্রাভিযানের উপর স্লাইড শো দেখানো হবে। পড়ুয়ারা মহাকাশ গবেষণার বিষয়ে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতাও অর্জন করার সুযোগ পাবেন।

যে কোনও বড় অভিযানের আগে ইসরোর বিজ্ঞানীরা তিরুপতি মন্দিরে পুজো দেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবারও ইসরোর কয়েকজন বিজ্ঞানী চন্দ্রযান-৩-এর মিনিয়েচার মডেল নিয়ে তিরুপতি মন্দিরে যান।