সংক্ষিপ্ত
বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু চেনাব ব্রিজে বন্দে ভারতের যাত্রা। এফিল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু এই সেতু জম্মু ও কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং কৌশলগত গুরুত্ব বাড়াবে।
নয়াদিল্লি। রেলওয়ে (Indian Railways) বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু চেনাব ব্রিজে বন্দে ভারত ট্রেন চালু করেছে। এই সেতু ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত বিখ্যাত এফিল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু। এই সেতু প্রকৌশলের এক অসাধারণ নিদর্শন।
কেন বিশেষ এই চেনাব সেতু?
চেনাব সেতু জম্মুর রিয়াসি জেলায় বক্কল এবং কৌরির মধ্যে নির্মিত। এটি কাটরাকে বনিহালের সাথে সংযুক্ত করে। এটি উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুলা রেল লিঙ্ক (USBRL) প্রকল্পের অংশ। এটি ৩৫,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি প্রকল্প। এর উদ্দেশ্য জম্মু ও কাশ্মীরে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন। সেতুটি নির্মাণে প্রায় ১৪,০০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
১,১৭৮ ফুট উঁচু চেনাব সেতু
চেনাব সেতু নদীতল থেকে ১,১৭৮ ফুট উঁচু। এর উচ্চতা এফিল টাওয়ারের চেয়ে ৩৫ মিটার বেশি। এটি ১২০ বছর পর্যন্ত ব্যবহারযোগ্য থাকবে। এটি ২৬০ কিমি/ঘণ্টা বেগের বাতাস, তীব্র গরম এবং ঠান্ডা, ভূমিকম্প এবং জলস্তর বৃদ্ধির মতো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম। সেতুর খোল নির্মাণে প্রকৌশলীদের তিন বছর সময় লেগেছে। এর জন্য দুটি বিশাল কেবল ক্রেন ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলো চেনাবের দুই তীরে কৌরি প্রান্ত এবং বক্কল প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছিল।
জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ চেনাব সেতু?
চেনাব সেতু জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এর ফলে তুষারপাত এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার সময়েও মানুষের যাতায়াত সহজ হবে। এই সেতু কৌশলগত দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে সৈন্য এবং ট্যাঙ্কের মতো ভারী অস্ত্রশস্ত্র কাশ্মীর ও লাদাখ অঞ্চলে সহজে পৌঁছে দেওয়া যাবে। শীতকালে কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াতের জন্য সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সবসময়ই একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ায় সৈন্যদের জন্য কাশ্মীর ও লাদাখ ভ্রমণ সুবিধাজনক হয়েছে। এর ফলে সব ঋতুতেই কাশ্মীরের সাথে সমগ্র ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল থাকবে।