সংক্ষিপ্ত
সম্পত্তি হাতে আসতেই মা-বাবাকে অনেকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসেন তো কেউ বাড়ি থেকে বের করে দেন। বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের থেকে এমন আচরণ পেলে সে মা-বাবার কী হাল হয় তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন নজির রয়েছে বিস্তর। তবে, আর তা হবে না। সদ্য এ প্রসঙ্গে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সিটি রবিকুমার এবং বিচারপতি সঞ্জয় করোলের ডিভিশন বেঞ্চ। এবার দানপত্র করে ছেলে মেয়ের নামে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার পর যদি শর্ত অনুসারে সেই সন্তান মা-বাবার দেখভাল না করে তাহলে মহকুমাশাসক কিংবা সংশ্লিষ্ট ট্রাইবুন্যাল দানপত্র বাতিল করে দিতে পারে।
মধ্যপ্রদেশ নিবাসী উর্মিলা দীক্ষিত নামে এক মহিলা এই মামলা দায়ের করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই সম্প্রতি এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, প্রবীণ নাগরিকদের ওপর যদি কোনও রকম বঞ্চনা হয়, তাহলে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতেই মহকুমাশাসকের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছে আইনসভা। যদি সেই ক্ষমতা কাজে লাগাতে না দেওয়া হয়, তাহলে সিনিয়র সিটিজেন আইন যে ভাবনা থেকে তৈরি হয়েছিল, সেটা ধাক্কা খাবে। সিনিয়র সিটিজেন আইনের ২৩ নম্বর ধারায় উল্লেখে আগের দানপত্র খারিজের প্রসঙ্গে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। বলেছে, ২০০৭ সালে প্রবীণ নাগরিকদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা প্রদানের জন্য এই আইন তৈরি করা হয়। যদি ওই আইনের ২৩ নং ধারা ব্যবহার না করতে দেওয়া হয়, তাহলে বঞ্চনা হলেও প্রবীণ নাগরিকদের অধিকারও রক্ষা করা যাবে না।
এ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্ত মন্তব্য করেন। তিনি বলেছেন এই আইনের প্রয়োগে সুপ্রিম কোর্ট আরও পরিষ্কার করে দিয়েছে, যদি দানপত্র কররা সময় ভরণপোষণের শর্ত থাকে তাহলে সেই শর্ত না মানা হলে আইন পদক্ষেপ নেবে। তাই এবার থেকে বাবা-মায়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব না নিলে হাতছাড়া হবে সম্পত্তি, প্রকাশ্যে কড়া আইন