সংক্ষিপ্ত
তবে কী কড়া শীতেই ভারতের সামরিক শক্তির পরীক্ষা নেবে চিন
সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্র তাই বলছে
প্যাংগং হ্রদ এলাকায় শক্তি বাড়াচ্ছে চিন
কীভাবে চরম শীতে সেখানে থাকবে চিন সেনা
ভারতের সমতল এলাকায় এখনও বর্ষা চলছে। কিন্তু, পূর্ব লাদাখের পার্বত্য এলাকায়, যেখানে ভারত ও তিন সেনা গত কয়েকমাস ধরে যুযুধান ছিল, সেইসব এলাকায় সেপ্টেম্বর মাস থেকেই কড়া শীতের কামড় শুরু হয়ে যায়। এই কঠিন পরিবেশেই কি ভারতীয় সামরিক শক্তির পরীক্ষা নিতে চাইছে চিন? সম্প্রতি উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে, চিন মুখে সেনা প্রত্যাহারের কথা বললেও প্যাংগং হ্রদ এলাকায় ঘটছে ঠিক উল্টোটাই। সেনা প্রত্যাহারের বদলে ওই এলাকায় বেজিং অতিরিক্ত নৌকা, এবং আরও বেশি সৈন্য থাকার জন্য অতিরিক্ত তাঁবু নিয়ে আসছে। এমনকী হচ্ছে চরম শীতে থছাকার মতো ব্যবস্থাও।
এক সর্বভারতীয় পত্রিকার পক্ষ থেকে ২৯ জুলাই তারিখের বেশ কিছু উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে দাবি করা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির স্থলবাহিনীর নাভাল উইং, প্যাংগং হ্রদের আশপাশের এলাকায় ১৩টি নৌকা মজুত করেছে। ফিঙ্গার ফাইভে রয়েছে তিনটি নৌকা এবং বাকি ১০ টি রয়েছে এবং ফিঙ্গার সিক্স-এ। এই প্রতিটি নৌকা কমপক্ষে ১০ জন সৈন্য নিয়ে যাতায়াত করতে পারে। এর হিসাবের ভিত্তিতে ওই পত্রিকাটির অনুমান অন্তত ১৩০ জন চিনা সেনা ভারতীয় নিয়ন্ত্রণে থাকা ফিঙ্গার ফোর এলাকার খুব কাছেই উপস্থিত রয়েছে।
ওই পত্রিকার তরফে দাবি করা হয়েছে, গত ১৫ জুনের উপগ্রহ চিত্রে শুধু ফিঙ্গার সিক্স এলাকায় ৮টি চিনা সামরিক নৌকা দেখা গিয়েছিল। অর্থাৎ অতিরিক্ত বেশ কয়েকটি নৌকা গত কয়েকদিনে ওই এলাকায় আনা হয়েছে। সেইসঙ্গে পিএলএর স্থলবাহিনীর একটি নৌঘাঁটি ২৯ জুলাইয়ের উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে, যা আগে ছিল না। এই অতিরিক্ত নৌকার উপস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং এটা হামলারই প্রস্তুতি বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
শুধু নৌকার সংখ্যাই বাড়ানো হয়নি। সাম্প্রতিকতম উপগ্রহ চিত্রে ওই এলাকায় নতুন ৪০টি বিশেষ সামরিক ছাউনি এবং প্রায় ১৫ টি তাঁবু-ও দেখা গিয়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই বিশেষ ছাউনিগুলি চূড়ান্ত শীত-ও সহ্য করতে পারে। এমন প্রকৃতির ছাউনি ওই এলাকায় নিয়ে আসার অর্থ হল চিনারা শীতের মধ্য়েও ওই এলাকায় থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তাঁরা জানিয়েছেন এই ছাউনিগুলিতে ১২ জন করে সৈন্য থাকতে পারে। এই হিসাবে তাঁবুগুলি বাদ দিলেও ওই এলাকায় এখনই একসঙ্গে কমপক্ষে ৪৮০ জন সেনা সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা করে ফেলেছে চিন। তবে শীতকালে ওই এলাকায় এমনি এমনি চিন বসে থাকবে, এমনটা মনে করছেন না ভারতীয় সেনার প্রাক্তন কর্তারা। তাঁদের মতে চরম শীতের সুয়োগ নেওয়ার জন্যই ওঁত পাতছে বেজিং।