সংক্ষিপ্ত

সম্প্রতি, ভারত ও চীনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হয়েছে, যার অধীনে ডেপসাং এবং ডেমচোক বিরোধের সমাধান হয়েছে, তবে বর্তমানে উভয় দেশের এক লাখেরও বেশি সেনা সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে।

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (LAC) ড্রাগনের কৌশল অব্যাহত রয়েছে। সে সীমান্তে দাঁড়িয়ে গর্জন করছে। সীমান্তে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার চিনা সেনা দাঁড়িয়ে আছে। প্রায় একই সংখ্যক ভারতীয় সেনাও সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে। ভারত ও চিনের এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করায় সীমান্তে উত্তেজনা আবারও গভীর হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, আমাদের এই পরিস্থিতি কী দেখায় এবং সীমান্তে সবকিছু ঠিক আছে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা যাক।

সীমান্তে কেন এক লাখ সেনা মোতায়েন?

২০২০ সাল থেকে লাদাখে ভারত ও চিনের মধ্যে পাঁচটি পয়েন্ট নিয়ে বিরোধ ছিল। এসব বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সামরিক পর্যায়ের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি, ভারত ও চিনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হয়েছে, যার অধীনে ডেপসাং এবং ডেমচোক বিরোধের সমাধান হয়েছে, তবে বর্তমানে উভয় দেশের এক লাখেরও বেশি সেনা সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে। তাদের কী হবে, কবে কমবে এসব সেনা মোতায়েন? ২০২০ সালের আগের পরিস্থিতিতে ভারত ও চিনের এত বেশি সেনা সীমান্তে মোতায়েন করা হয়নি।

সেনা মোতায়েন কমবে কীভাবে?

এ বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে প্রশ্ন করা হলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এর জবাব দেয়। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং লোকসভায় বলেছেন, 'ভারত সরকার পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি সম্পর্কে নতুন চুক্তির বিষয়ে অত্যন্ত স্পষ্টতার সাথে তথ্য দিয়েছে। তিনি বলেন, ২১ অক্টোবর ভারত ও চিন ভারত-চিন সীমান্ত এলাকায় ডেপসাং এবং ডেমচোকে এলএসি-তে টহল ব্যবস্থার বিষয়ে চুক্তি চূড়ান্ত করেছে এবং এর সাথে ধীরে ধীরে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে উভয় দেশের সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।

এ বিষয়ে চিনের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে

সীমান্তে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখনও উভয় দেশের ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার সৈন্য এলএসি-তে মোতায়েন রয়েছে, যার কারণে উত্তেজনা এখনও রয়েছে এবং তা কমাতে উভয় দেশই পরস্পরের সঙ্গে ক্রমাগত কথা বলছে। এখন মোতায়েন সৈন্যের এই সংখ্যা কীভাবে কমানো যায় তার ওপরই সবার নজর।