সংক্ষিপ্ত


ভারতে সক্রিয় চিনা গুপ্তচর নেটওয়ার্ক

দলাই লামা সম্পর্কে সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ ছিল লক্ষ্য

বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের তারা হাওয়ালা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঘুস দিত

হিমাচল প্রদেশ থেকে কর্ণাটক পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল জাল

সম্প্রতি ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়েছে ভারতে সক্রিয় একটি চিনা গুপ্তচর নেটওয়ার্ক। বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের ঘুষ দিয়ে, দলাই লামা ও তার সহযোগীদের সম্পর্কে সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করত তারা। অর্থ পাচারের জন্য তারা ব্যবহার করত হাওয়ালা নেটওয়ার্ক। কানাড়া টিভি চ্যানেল সুবর্ণা টিভির এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, হিমাচল প্রদেশ থেকে কর্ণাটক পর্যন্ত ভারতের বিশাল এলাকা জুড়ে  চিনা গুপ্তচর নেটওয়ার্কটির জাল বিস্তৃত রয়েছে।

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লির স্পেশাল পুলিশ চিনা নাগরিক লুও সাং ওরফে চার্লি প্যাং-কে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকেই সে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা, এবং কর্ণাটকের মহীশূর এবং উত্তর কানাড়া জেলার বৌদ্ধ ভিক্ষুদের অর্থ পাঠাতো। ধর্মশালার ম্যাকলিউডগঞ্জেই বর্তমানে দলাই লামা থাকেন এবং সেখানেই কেন্দ্রীয় তিব্বতি প্রশাসন অর্থাৎ তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের সদর দফতর। আর মহীশূর জেলার বাইলাকুপ্পে  এবং উত্তর কানাড়া জেলার মুন্ডাগোড়ায় ভারতের সবচেয়ে বড় তিব্বতি বৌদ্ধ গোষ্ঠীর বসবাস।

এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট-এর তদন্তে জানা গিয়েছে, বাইলাকুপ্পে এবং মুন্ডাগোড়ার তিব্বতি শিবিরের লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ এসেছিল। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের চিনা নাগরিক চার্লি পেং, এসকে ট্রেডিং নামে একটি নকল সংস্থার জাল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করেছিল। অন্তত দশ জন বৌদ্ধ ভিক্ষু পেং-এর কাছ থেকে অর্থ পেয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে, তাদের মধ্যে ছয়জন বাইলাকুপ্পের বাসিন্দা।

বাইলাকুপ্পের বিক্ষু থুপটেন চোদক (১৫ লক্ষ), ফুন্টসোক ধরগয়াল, গোয়াং লোয়েসেল, তাসি চোপেল (১০ লক্ষ করে), থুপটেন ওয়াংচুক (৮ লক্ষ), লোবসাং চোদেন (৭ লক্ষ) টাকা পেয়েছেন। আর মুন্ডাগোড়ার দ্রুপং লোসেলিং (১০ লক্ষ) এবং সোনম দোর্জে (৭ লক্ষ) টাকা পেয়েছেন। দেশের অন্যান্য অংশেও বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের ঘুস দেওয়া হয়েছে। সিরা বৌদ্ধ সন্ন্যাসী জামায়ং জিম্পাকে গুপ্তচররা ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিল বলে খবর।