সংক্ষিপ্ত
প্রধান বিচারপতি হিসেবে ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তারপর টানা ২ বছর তিনি প্রধান বিচারপতির পদে ছিলেন।
ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর গ্রহণ করবেন ১০ নভেম্বর। ১০ নভেম্বর রবিবার। কিন্তু আজই তাঁর শেষ কর্মদিবস। এদিন একটি অনুষ্ঠান দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে বক্তব্য রেখেন। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, আর দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে তিনি কাজ করবেন না। তিনি বলেন, 'আমি আগামিকাল থেকে বিচার আর করব না। তবে আমি সন্তুষ্ট।'
প্রধান বিচারপতি হিসেবে ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তারপর টানা ২ বছর তিনি প্রধান বিচারপতির পদে ছিলেন। দীর্ঘ সময় প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন। এদিন রীতিমত হালকা মেজাজে ছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, 'আমাকে রেজিস্ট্রার জিজ্ঞাসা করেছিল এই অনুষ্ঠান কখন শুরু করব? আমি প্রথমে বলেছিলাম দুপুর ২টো। তারপরে ভাবলাম, এটি অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। মনে মনে ভাবলাম শুক্রবার দুপুর ২টোয় কি কেউ এখানে আসবে নাকি আমি স্ক্রিনে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকব?'
এদিন তিনি নিজের কর্মজীবনের কথা স্মরণ করেন। তিনি বিচারকদের ভূমিকাকে তীর্থযাত্রার সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি গোটা প্রক্রিয়াকে সেবা হিসেবেই দেখেন। বলেন, 'আমরা যে কাজ কে তা নতুন কিছু করতে পারে আর ভাঙতে পারে। ' তিনি তাঁর আগের বিচারকদের শ্রদ্ধা জনিয়েছেন। পশপশি তিনি বলেন , বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার হাতে বেঞ্চ ছেড়ে দিয়ে তিনি আশ্বস্ত। সঞ্জীব খান্না একজন দক্ষ বিচারক।
এদিন বিদায় অনুষ্ঠানে চন্দ্রচূড় বলেন, 'আমি যদি আদালতে কাউকে আঘাত করে থাকি তাহলে ক্ষমা করে দেবেন। ' অন্যদিকে আইনজীবী ও বারের সদস্যরাও প্রধান বিচারপতিকে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা চন্দ্রচূড়কে রকস্টার হিসেবেই বর্ণনা করেন। সঞ্জীব খান্না দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামী ১১ নভেম্বর দায়িত্ব নেবেন। তিনি হবে দেশের ৫১ তম প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, 'আমি কখনই বিচারপতি চন্দ্রচূদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ পাইনি, তবে তিনি প্রান্তিকদের জন্য যা করেছেন। এবং অভাবী তুলনার বাইরে।'
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।