সংক্ষিপ্ত
মধ্যপ্রদেশের খারগোনে রাম নবমীর মিছিলে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। গোটা এলাকা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রাম নবমী উপলক্ষে ঝাড়খণ্ড, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ এবং মধ্যপ্রদেশ সহ সারা দেশের অনেক রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ও সংঘর্ষের খবর মিলেছে। এই হিংসাত্মক ঘটনার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি বিরোধী দলগুলিকেই দায়ী করেছে। গুজরাট থেকে ইতিমধ্যেই এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। রাজ্য জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের খারগোনে রাম নবমীর মিছিলে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। গোটা এলাকা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর রাম নবমীর মিছিলে পাথর ছুড়লে সংঘর্ষ বেধে যায়। মিছিলের সময় লাউডস্পিকার জোরে বাজা নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত। সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিওতে দেখা যায় পুলিশ টিয়ারশেল ছুঁড়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। এই সংঘর্ষে চারটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার খারগোনের ডিআইজি তিলক সিং জানান, রাম নবমী মিছিলে পাথর ছোড়ার পর খারগোন শহরের কিছু অংশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পুলিশ ৬০ থেকে ৭০ জনকে হেফাজতে নিয়েছে। কিছু বাড়ি এবং যানবাহনও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসপির পায়ে গুলিও করা হয়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। রাজ্যের মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেছেন যে রাজ্যে অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজ্যের মাদ্রাসাগুলির ওপর সার্জিকাল স্ট্রাইক, কি প্ল্যান রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর, জেনে নিন
গুজরাটের সবরকাঁথা জেলার হিমাতনগরের খাম্বাতে, সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বিক্ষুব্ধ জনতা দোকানপাট ও একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। বেশ কয়েকজন আহত হন।
ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগায়, রাম নবমীর মিছিলে পাথর ছোড়ার সময় তিনজন গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ড পুলিশ জানিয়েছে "অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় দুই ডিআইজি এবং তিনজন এসপি সহ উচ্চপদস্থ কর্তাদের মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সংবেদনশীল এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে" ।
এদিন সংঘর্ষ শুরু হয় জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়েও। ক্যাম্পাসে আমিষ খাবার নিষিদ্ধ করার জন্য ABVP-এর জোরজবরদস্তি করে বলে অভিযোগ। এদিকে কর্ণাটকের মুলবাগাল শহরে পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় কোলারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। একটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং এখনও পর্যন্ত নয়জনকে আটক করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে রাম নবমী উদযাপন উপলক্ষে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ পুলিশ রাম নবমী উদযাপনে অংশগ্রহণকারীদের 'পেটাচ্ছে'। "রাম ভক্তরা বাংলায় নিরাপদ নয়। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের কর্মীরা শিবপুরে রাম নবমী মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের মারধর করেছে। অনেকে আহত হয়েছে। এই রাজ্যে কি সনাতানি ভক্তরা নিরাপদে তাদের ধর্ম পালন করতে পারে না?" টুইট করেন শুভেন্দু।