সংক্ষিপ্ত

পঞ্জাব, উত্তরাখন্ড, মণিপুর, গোয়া ও উত্তরপ্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আর সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে এদের সরিয়ে দেওয়ার বা সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। 

কাঁটাছেঁড়া চলছে। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে (assembly elections) কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয় (assembly polls debacle) নিয়ে নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। তবে সব প্রশ্নের অবসান ঘটিয়ে নেতৃত্বের রাশ গান্ধী পরিবারের হাতেই রেখেছেন সনিয়া গান্ধী (Congress President Sonia Gandhi)। তবে বিতর্কের শেষ করতে বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। পঞ্জাব, উত্তরাখন্ড, মণিপুর, গোয়া ও উত্তরপ্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আর সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে এদের সরিয়ে দেওয়ার বা সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। 

কংগ্রেসের উত্তরপ্রদেশ ইউনিটের নেতৃত্বে ছিলেন অজয় লাল্লু। পঞ্জাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু। দলের উত্তরাখণ্ড ইউনিটের প্রধান হলেন গণেশ গোদিয়াল, গোয়ায় দলের নেতৃত্বে রয়েছেন গিরিশ চদনকার। মণিপুর কংগ্রেসের দায়িত্বে রয়েছেন নামিরকপাম লোকেন সিং। 

মঙ্গলবার কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন "কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধী উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া এবং মণিপুরের PCC সভাপতিদের দলের পুনর্গঠনের সুবিধার্থে তাদের পদত্যাগ করতে বলেছেন।" সনিয়া গান্ধীর চিঠির পরপরই উত্তরাখণ্ড কংগ্রেস সভাপতি গণেশ গোডিয়াল তার পদ থেকে ইস্তফা দেন। "রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে দলের পরাজয়ের জন্য নৈতিক দায় নিয়ে, আমি আজ আমার পদত্যাগ জমা দিয়েছি," তিনি একটি টুইটার পোস্টে বলেন।

ইতিমধ্যেই তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন গোয়া কংগ্রেসের প্রধান গিরিশ চদনকর। এদিকে, গত ফেব্রুয়ারি -মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ধরাশায়ী হয় কংগ্রেস। পঞ্জাব রাজ্যে ক্ষমতা হারায়। উত্তরপ্রদেশ, মণিপুরে একক সংখ্যার দলে পরিণত হয়েছে। গোয়া-উত্তরাখণ্ডেও সরকার গঠন করার লড়াইতেই আসতে পারেনি কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে, রবিবারের কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে, দলের নেতৃত্ব বদল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে আশা করা হয়েছিল। কেউ কেউ মনে করেছিলেন, জি-২৩ নেতাদের দাবি মেনে নিয়ে দলের সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা করবেন সনিয়া গান্ধী। তবে তা হয়নি। 

তবে, একের পর রাজ্যে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর, আর কতদিন নির্বাচন ছাড়া গান্ধীরা কংগ্রেসের ক্ষমতা ভোগ করে যেতে পারবেন, তাই নিয়ে সন্দেহের ছায়া ক্রমে বড় হচ্ছে। ইতিমধ্যে, জি২৩ নেতারা, অর্থাৎ যারা ২০১৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সাংগঠনিক নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন, তাঁরা গান্ধীদের কোনঠাসা করতে কৌশল সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন।