সংক্ষিপ্ত

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা সমীক্ষার রিপোর্ট বিজেপির অসুবিধা বাড়িয়েছে। জানুয়ারিতে পরিচালিত ইন্ডিয়া টুডে সি ভোটার সমীক্ষায় বিহারে কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে।

ভারত জোড়ো যাত্রা কংগ্রেসের জন্য দুর্দান্ত সফল প্রমাণিত হয়েছে। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। নির্বাচনের আগে এই সফর কংগ্রেসের গণভিত্তি শক্তিশালী করতে সহায়ক হয়েছে। ৯টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনও হতে চলেছে। গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের আগে এক সমীক্ষায় কংগ্রেসের অবস্থান আরও শক্ত হতে দেখা গেছে। ভারত জোড়ো যাত্রার গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা পেতে চলেছে কংগ্রেস।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা সমীক্ষার রিপোর্ট বিজেপির অসুবিধা বাড়িয়েছে। জানুয়ারিতে পরিচালিত ইন্ডিয়া টুডে সি ভোটার সমীক্ষায় বিহারে কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস, আরজেডি ও জেডিইউ জোট ৫ শতাংশ ভোটের সুবিধা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

লোকসভা নির্বাচন হলে ফলাফল কী হবে?

আজ লোকসভা নির্বাচন হলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট ২৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে। ইউপিএ মোট ১৫৩টি আসন পেতে পারে। এটা কংগ্রেসের জন্য বড় লিড। যদিও সমীক্ষায় স্পষ্ট বলা হয়েছে যে নরেন্দ্র মোদী সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে পারে। কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, বিহারের মতো রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।

মহারাষ্ট্রে বিজেপি জোট ক্ষমতায় থাকলেও তার পথ সহজ হবে না। কংগ্রেস হল উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) একটি শক্তিশালী জোট। রাহুল গান্ধীর সফরের কারণে এখানে শক্তিশালী হয়েছে কংগ্রেস। আজ নির্বাচন হলে মহারাষ্ট্রে বিজেপি জোটকে কঠিন চ্যালেঞ্জ দিতে পারে ইউপিএ জোট। কর্ণাটকে ইতিমধ্যেই অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি ফ্যাক্টর প্রভাবশালী হয়ে উঠছে।

রাহুল গান্ধীর কাছ থেকে কংগ্রেসের আশা

সমীক্ষায় অংশ নেওয়া বেশিরভাগ মানুষই বলেছেন যে শুধুমাত্র রাহুল গান্ধীই কংগ্রেসে পরিবর্তন আনতে পারেন। ২৬ শতাংশ মানুষ বলেছেন, একমাত্র রাহুল গান্ধীই পারেন কংগ্রেসের দিক পরিবর্তন করতে। একই সময়ে, ১৬ শতাংশ মানুষ আত্মবিশ্বাসী যে শচিন পাইলটও কংগ্রেসের ভিত শক্ত করতে পারেন। এই সমীক্ষায় মল্লিকার্জুন খাড়গে থেকে জনগণের কোনো আশা ছিল না। মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ তাকে ভোট দিয়েছেন।

২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিধানসভা নির্বাচনের পথ ভারতীয় জনতা পার্টির জন্য খুব একটা যে সহজ হবে, তা কিন্তু নয়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কংগ্রেস কড়া টক্কর দিতে চলেছে গেরুয়া শিবিরকে। ২০১৪ সাল থেকে, কিছু রাজ্যে কংগ্রেসের আসন কমতে পারে, কিন্তু ইউপিএ অনেক জায়গায় পায়ের তলার মাটি খুঁজে পেয়েছে। এখন সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় সামনে এসেছে যে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের ৬২টির বেশি আসন বাড়তে পারে।

সি-ভোটারের সমীক্ষায় কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার যে পরিসংখ্যান বেরিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস বড় লিড পেয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইউপিএ-র ভোট শেয়ার এবং আসন বাড়তে পারে। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা কংগ্রেসকে চাঙ্গা করেছে। এখন ২০২৪ লোরসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস আশার আলো দেখছে।