সংক্ষিপ্ত
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবার প্রকাশ্যেই বিরোধী ঐক্যের সূত্রকে সমর্থন জানালেন। শুধু খাগড়েই নয়, শশী তারুর, মণীশ তিওয়ারির মতো কংগ্রেসী নেতারাও সাংসদে প্রকাশ্যেই বিরোধী ঐক্যের সূত্রে সহমত হন।
২০২৪-এর নির্বাচনের ঘুটি সাজানো শুরু হয়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। মমতার 'বিরোধী ঐক্যের' সূত্রেই জয়ের সঙ্কেত দেখছে হাত শিবির। তৃণমূল নেত্রী প্রথম থেকেই বিজেপিকে হারাতে বিরোধী ঐক্য শক্ত করার কথা বলেছিলেন। মমতার মতে যে যেখানে শক্তিশালী, তাকে সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জমি ছেড়ে দিতে হবে। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই সূত্রে গড়রাজি ছিল কংগ্রেস শিবির। তবে ভোট যুদ্ধ কাছে আসতেই তৃণমূলের পথেই হাটছে কংগ্রেস। এবার প্রকাশ্যেই মমতার 'বিরোধী ঐক্যের' সূত্রকেই সমর্থন জানালেন কংগ্রস নেতারা। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবার প্রকাশ্যেই বিরোধী ঐক্যের সূত্রকে সমর্থন জানালেন। শুধু খাগড়েই নয়, শশী তারুর, মণীশ তিওয়ারির মতো কংগ্রেসী নেতারাও সাংসদে প্রকাশ্যেই বিরোধী ঐক্যের সূত্রে সহমত হন।
সাংসদে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যেই কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদেরা সওয়াল করতে শুরু করেন। তাঁদের কথায় কংগ্রেস যেখানে দুর্বল, সেখানে অন্য দলকে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। পাশাপাশি যে সব রাজ্যে সরাসরি বিজেপির প্রতিদ্বন্দী কংগ্রেস সেখানে অন্য আঞ্চলিক দল ভোটে ভাগ বসাবে না। যাতে বিরোধী ভোটে বিভাজন না হয়। উল্লেখ্য গত বছর একুশে জুলাই প্রকাশ্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন চব্বিশের লোকসভা নির্বাচলে যে যেখানে শক্তিশালী, সে সেখানেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে। কিন্তু সেই সময় মমতার সঙ্গে একমত পোষণ করেননি কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রসঙ্গে মনু সিঙ্ঘভি তখনও বলেছিলেন বিজেপি বিরোধী ভোট বিভাজন কমাতে সকলকে এককাট্টে হতে হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দিল্লিতে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায়। দ্বিতীয় দিনে ধর্নামঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন 'নেতা কে হবে সেটা বড় কথা নয়, এই লড়াই মোদী সরকারকে হটানোর লড়াই।' অন্যদিকে ধর্নার দ্বিতীয় দিনে রেড রোডের মঞ্চে হাজির হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজির হলেন তৃণমূলের ছারে-যুবরাও। বৃহস্পতিবার সকালে রেড রোডের ধর্না মঞ্চ মাতল গানের সুরে। তৃণমূলের ছাত্র-যুবরা গিটার বাজিয়ে গান শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েকে। তাঁদের সঙ্গে 'বাংলার মাটি বাংলা গান'-এ গলা মেলালন মুখ্যমন্ত্রীও। তাঁর পরেই শোনা গেল,'এ বার তোর মরা গাঙে...'। এখানেই শেষ নয় ঘাসফুল শিবিরের তরুণ নেতাদের নিজের রাজনৈতিক জীবনের গল্প শোনালেন মমতা। তাঁর কথায়,'আমি যখন ছাত্র রাজনীতি করতাম, মিন্টু দাশগুপ্ত একটা ব্লকের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। উনি গানের স্কোয়াড খুলেছিলেন। আমি সেটা লিড করতাম।'
ধর্নার দ্বিতীয় দিনেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দেশের সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে এক জোট হওয়ার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন,'কে নেতা হবে এখন সেটা বড় কথা নয়। দেশের সমস্ত বিরোধী শক্তিগুলিকে একজোট হয়ে লড়তে হবে এই লড়াই মোদী সরকারকে হটানোর লড়াই।' কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সমস্ত আঞ্চলিক দলগুলিকে একজোট হওয়ার বার্তা আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ফের একবার সম্মুখ সমরের আহ্ববান মমতার। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ওয়ান ইস্টু ওয়ান লড়াইয়ের ডাক মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন -
রাহুল গান্ধী সম্পর্কে বিস্ফোরক গুলাম নবি আজাদ, চাঞ্চল্যকর সাক্ষাৎকার এশিয়ানেট নিউজে
দুর্নীতি আর পরিবারতন্ত্র নিয়ে হায়দাবাদ থেকে বিরোধীদের আক্রমণ মোদীর