সংক্ষিপ্ত
বর্ষার মরশুমে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে
তাপমাত্রা কমলেই সংক্রমণ বাড়ে
আদ্রতার ওপরই নির্ভর করে সংক্রমণ
দাবি এআইআইএমএস ও আইআইটি-র গবেষণায়
বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা হ্রাস বায়ুমণ্ডলের শীতলতা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সহায়ক ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। তেমনই দেখা গেছে একটি সমীক্ষায়। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে বর্ষাকাল থেকেই সংক্রমণ বাড়তে পারে। শীতকালে তাপমাত্রার হ্রাস করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে আরও তরাণ্বিত করতে সহায়ক। ভূবনেশ্বর আইআইটি ও এআইআইএমএস-এর যৌথ্য উদ্যোগে এই সমীক্ষাটি করা হয়েছে। মূলত তাপমাত্রার প্রভাব সংক্রমণে কতটা সহায়ক তা দেখার চেষ্টা করা হয়েছিল বলেই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। আর সেই সমীক্ষাতেই উঠে এসেছেন এই ভয়ঙ্কর তথ্য। আর এই তথ্য সামনে আসার পর অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠেছে যে বর্ষাকালেই ভারতে দেখা যাবে করোনার চূড়া।
আইআইটি ভূবনেশ্বরের পক্ষ থেকে ছিলেন বিজয়নী বি ও বৈজন্তীমালা এম। তাঁদের সঙ্গে এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন স্কুল অব আর্থ, ওসান অ্যান্ড ক্লাইমেট সায়েন্সের বিশেষজ্ঞ ভিনোজ ভি, গোপীনাথ এন, ল্যান্ডু কে।
'ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া এবং তাপমাত্রা ও আপেক্ষিক আদ্রাতার ওপর নির্ভরতা' শীর্ষক শিরোনামে গবেষণার সারমর্ম হল করোনাভাইরাস মহামারীটি এক অভূতপূর্ব স্বাস্থ্য জরিরু অবস্থায যা মানবজাতির ইতিহাসে আগে কখনও দেখা যায়নি। এর তীব্রতার কারণে রীতিমত ধাক্কা খেয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। পরবর্তীকালেই সংকট বর্তমান থাকবে। আর এক সংক্রমণের কারণ খতিয়ে দেখতে সার্স কোভিড-২, ইনফ্লুয়েঞ্জা এএইচ ১ এন ১ ২০০৯-এর পরিবেশগত কারণ ও তার বিস্তারের গতিশীলতাকে নজর রেখেই এই বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ধরণ ও এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে ২৮টি রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনা করে দেখা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ভিনোজ বলেছেন, গবেষণায় দেখা গেছে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই কমে যায়। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন,তাপমাত্রা ও আপেক্ষিক আদ্রতার রোগ বৃদ্ধি ও আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে। গবেষণাটি প্রাক মুদ্রণ পর্যায়ে রয়েছে।
গবেষকদের মতে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াল বৃদ্ধির ফলে আক্রান্তের সংখ্যা ০.৯৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। আর আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে সময় নেয় মাত্রা ১.১৩ দিন। আরও দেখা গেছে আপেক্ষিক আদ্রতা প্রবণতা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময়কে ১.১৮ দিনের মধ্যে কমিয়ে আনতে পারে।
পরিবেশ আর পরিস্থিতি কীভাবে করোনাভাইরাসের বিস্তারকে প্রভাবিত করছে তা দেখাই এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল। তবে এখনও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও তাঁরা জানিয়েছেন। কারণ শীতকালীন পরিস্থিতি এখনও সমীক্ষা করে দেখা হয়নি।