সংক্ষিপ্ত
ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের কার্যকারিতা, সেটি নেওয়ার ৯০ দিন পরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে ফের বাড়তে পারে করোনার প্রকোপ।
করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ (third vaccine dose) সম্পর্কে ভাবনা চিন্তা করা উচিত বিশেষজ্ঞদের (team of researchers)। কারণ সমীক্ষা (new study) বলছে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের (second vaccine dose) কার্যকারিতা, সেটি নেওয়ার ৯০ দিন (90 days) পরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে ফের বাড়তে পারে করোনার প্রকোপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৯০ দিন পর ফের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। দ্য বিএমজে জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় ফাইজার-বায়োটেক ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের ৯০ দিন থেকে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি ধীরে ধীরে বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের লেউমিট হেলথ সার্ভিসেস গবেষকরা বলেছেন যে এই সমীক্ষার ফল জানাচ্ছে ফাইজার-বায়োটেক ভ্যাকসিন টিকা দেওয়ার পরের প্রথম সপ্তাহগুলিতে করোনা ভাইরাস প্রতিহত করার জন্য দুর্দান্ত সুরক্ষা থাকে শরীরে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সুরক্ষাবলয় হ্রাস পায়। গবেষণার জন্য, দলটি ৮০,০৫৭ জন প্রাপ্তবয়স্কদের, যাঁদের গড় বয়স ৪৪ বছর, ইলেকট্রনিক স্বাস্থ্য রেকর্ড পরীক্ষা করেছে। এই ৮০,০৫৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক অংশগ্রহণকারীর মধ্যে, ৭,৯৭৩ (৯.৬ শতাংশ) পজেটিভ রিপোর্ট পায়।
দ্বিতীয় ডোজ থেকে সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে করোনা পজেটিভ রিপোর্টের সংখ্যা বাড়ে। উদাহরণস্বরূপ, সমস্ত বয়সের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১.৩ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ২১- ৮৯ দিন পর পজেটিভ রিপোর্ট পায়। কিন্তু ৯০-১১৯ দিন পরে এটি ২.৪ শতাংশে বৃদ্ধি পায়; ১২০-১৪৯ দিন পর ৪.৬ শতাংশ; ১৫০-১৭৯ দিন পর ১০.৩ শতাংশ; এবং ১৮০ দিন বা তার বেশি পরে ১৫.৫ শতাংশ বেশি হারে করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
এদিকে, কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের নতুন বিপদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে আরও একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট (new covid varient)। নতুন এই কোভিড (Covid 19) স্ট্রেইনের সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত (India) সরকার। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি লিখে সতর্ক করেছে। অন্যদিকে বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের দিকেও বিশেয নজর দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেছেন, ভ্রমণকারীদের ইতিবাচক হওয়ার নমুনাগুলি দ্রুততার সঙ্গে জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষাগারে পাঠানো হতে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুসারে ঘনিষ্ঠভাবে ট্র্যাক করতে হবে। পাশাপাশি তাদের পরীক্ষাও জরুরি। দক্ষিণ আফ্রিকা, হংকং বাৎসোয়ানা থেকে আসা যাত্রীদের ওপর বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। কারণ এই জায়গুলিতে এখনও পর্যন্ত নতুন করোনাভাইরাস ভ্যারিয়েন ৮১১৫২৯ সংক্রমণের সন্ধান পাওয়া গেছে।