সংক্ষিপ্ত

করোনাভাইরাস নিয়ে সংসদের উভয় কক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তিনি বলেন করোনা মহামারি যথেষ্টই উদ্বেগের। 

করোনাভাইরাস মহামারি রাজনীতির বিষয় হওয়া কখনও বাঞ্ছনীয় নয়। এটি গোটা দেশের আর মানবতার জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়। বর্তমান দেশের বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয় সজাগ থাকা অত্যন্ত জরুরি। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা নিয়ে সংসদের সমস্ত রাজনৈতিক  দলগুলির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন তিনি। সংসদের উভয় কক্ষের নেতাদেরও বিষয়টি নিয়ে অবগতও করেন নরেন্দ্র মোদী। 

ভারতে আকাশপথে হামলার নয়া ছক, স্বাধীনতা দিবসের আগে ড্রোন হামলার পরিকল্পনা পাক জঙ্গিদের

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে করোনাভাইরাস নিয়ে ব্যবহারিক তথ্য তুলে ধরেন। সংসদের উভয় কক্ষের রাজনৈতিক নেতাদের আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে তথ্য আসছে তা করোনা মহামারি মোকাবিলায় একটি নকশা তৈরি করতে যথেষ্ট সাহায্য করবে। তিনি আরও বলেন গত ১০০ বছরে এজাতীয় ভয়ঙ্কর মহামারি কেউ দেখেনি।

একতলায় কেউ না থাকায় হাত টেনে ধরেছিলেন মাস্টারমশাই, শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ছাত্রীর

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন,  সারাদেশে প্রায় প্রতিটি জেলায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি টিকাকর্মসূচিও গতি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। নরেন্দ্র মোদী বলেন প্রথম ১০ কোটি ডোজ দিতে সময় লেগেছিল ৮৫ দিন। আর শেষ ১০ কোটি ডোজ দিতে সময় লেগেছে মাত্র ২৪ দিন। দেশের নাগরিকদের সুবিধের জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে জেলা পর্যায় টিকাকর্মসূচি সঠিকভাবে রূপায়িত করা হয়েছে। তবে টিকা কর্মসূচি শুরু হওয়ার পরেও দেশের স্বাস্থ্য কর্মী, চিকিৎসক আর ফ্রন্টলাইন কর্মীরা টিকা পাননি বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। 

Pegasus: অভিষেকের অফিসের কল রেকর্ড নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্য, জ্ঞিজ্ঞাসাবাদের দাবি কুণালের

বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি। মিউটেশন এই রোগটিকে আরও দীর্ঘ করে তোলে। তাই এই রোগের বিরুদ্ধ ঐক্যবদ্ধ লড়াই করা খুবই জরুরি। প্রধানমন্ত্রী কোউইন অ্যাপ আর আরোগ্য সেতু অ্যাপের ব্যবহারের কথাও তুলে ধরেছেনয়। করোনা আক্রান্ত প্রাক্তন প্রধানন্ত্রী এইচডি দেবে গৌড়া শারীরিক অবস্থারও খোঁজ খবর নেন তিনি। একই সঙ্গে করোনাবিধি মেনে করারও কথা বলেন । 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্র কেরলসহ চারটি রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের পরিসংখ্যন ১০ হাজারের বেশি। মাত্র পাঁচটি রাজ্যে পজিটিভিটির হার ১০ শতাংশ। করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ২০ বার বৈঠক করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ২৯টি বৈঠক করেছিলেন। ১৬৬টি কেন্দ্রীয় দল কোভিড ১৯ মোকাবিলীয় ৩৩টি রাজ্য আর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে গিয়ে সাহায্য করেছে।