সংক্ষিপ্ত
- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোভিড বৈঠক
- সরাসরি তা সম্প্রচার করেন কেজরিওয়াল
- রীতিমত তিরস্কার করোন প্রধানমন্ত্রী
- হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবাহ ১১টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও অক্সিজেন সাপ্লাই খতিয়ে দেখতে বৈঠকে বসেছিলে। ভার্চুয়াল সেই বৈঠকই সরাসরি সম্প্রচার করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেরজিওয়াল। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি ধরাও পড়ে যায়। বৈঠক চলাকালিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে রীতিমত তিরোস্কার করেন। পাল্টা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হাত জড়ো করে ক্ষমা চাইতেও দেখা যায়। বিজেপির পক্ষ থেকে সেই বৈঠকের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে।
দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যান ৩.৩২ লক্ষে গিয়ে ঠেকেছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। দিল্লি মহারাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে অক্সিজেন ও হাসপাতালে শয্যার অভাব দেখা দিয়েছে। দেশের পুরো করোনাপরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হচ্ছিল এদিন। সেই বৈঠকই কিছু সময়ের জন্য সরাসরি সম্প্রচার করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যা নিয়েই তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। একই সঙ্গে কেজলিওয়ালের সম্প্রচার করা ভিডিওটিও নিমেষের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। তবে এই লাইভ টেলিকাস্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন, সবকিছুরই একটা প্রোটোকল রয়েছে। তিনি বলেন 'নিয়ম বা ঐতিহ্য অনুযায়ী কোনও ইনহাউস বৈঠক কখনয়ই সরাসরি সম্প্রচার করা যায় না। এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের যাথাযথ নিয়ম মানা উচিৎ বলেও আমার মনে হয়।' নরেন্দ্র মোদীর এই তিরস্ককারের পরই অরবিন্দ কেজরিওয়াল ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন 'ভবিষ্যতে এমন ভুল আর হবে না।' কেজরিওয়াল আরও বলেন, তাঁর যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে তাহলে তিনি তার জন্য ক্ষমা প্রার্থী। হাতজোর করে ৭মা চেয়ে কেজরিওয়াল বলেছেন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী যা যা বলেছেন তা তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন।
দিল্লির শ্রী গঙ্গারাম হাসপাতালে ২৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু, অক্সিজেন নিয়ে দুরকম কথা দুই কর্তার ...
২ মাসের জন্য ৫কেজি খাদ্য শস্য় বিলি, কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে ৮০ কোটি মানুষের পাশে থাকার বার্তা মোদীর ...
এদিনের বৈঠকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে বলতে শোনা যায়, অক্সিজেনের ঘাটতির কথা। তিনি বলেন দিল্লিতে অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে। যেকোনও সময় বড় কোনও ট্রাজেডি ঘটে যেতে পারে। আর সেটি হলে তাঁরা কখনই নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, দিল্লিতে কোনও অক্সিজেন প্ল্যান্ট নেই। এই দায় স্থানীয় বাসিন্দাদের হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা থেকে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন নিয়ে আসার কথাও তিনি বলেছেন। বৈঠক চলাকালীন কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রীকে স্যার বলেও সম্বোধন করেন।
শেষ ২দফায় ভোট প্রচারে আরও কঠোর নির্বাচন কমিশন, মোদীর পরে জনসভা বাতিল মমতার ...
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে বলা হয়েছে, এই ভিডিওটি সম্প্রচার করার ঠিক হয়নি। কিন্তু এই কাজ করে কেজরিওয়াল অনেক নিচে নেমে গেছেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক বলেছেন, কোনও সমাধান পেতে নয়, ভিডিওটি সম্প্রচার করার মূল উদ্দেশ্যই ছিল দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া ও রাজনীতি করা। সূত্রের খবর ভিডিওটিকে কেজরিওয়াল অক্সিজেনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই দিল্লিতে অক্সিজেন সাপ্লাই চালু রাখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।