সংক্ষিপ্ত
- দিল্লির হাসপাতালে ২৫ জনের মৃত্যু
- করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২৫ জন
- অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে দুই রকম মত
- দুরকম কথা বললেন ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান
দিল্লিতে স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৫ জন সবথেকে বেশি অসুস্থ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালেই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে। অক্সিজেন বাড়ন্ত- এই আতঙ্ক তৈরি হয় জাতীয় রাজধানীর বিস্তীর্ণ এলাকায়। রাজধানীর হাসপাতালগুলিতে ক্রমশই বাড়ছে করোনাভাইরাসে সংকট। তারওপর অক্সিজেন না থাকার খবর ছড়িয়ে পড়ায় নতুন করে তৈরি হয় জটিলতা। কিন্তু খবর পুরোপুরি সঠিক নয়। তেমনই দাবি করেছেন শ্রী গঙ্গারাম হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডিএস রানা। তিনি জানিয়েছেন এই খবর পুরোপুরি মিথ্যা, যে অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন আইএনক্স রাজ্য সরকারের ছাড়পত্র পাওয়ার পর প্রতিদিন ৯০০০-১০০০০ ঘনমিচিরা অক্সিজেন সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অক্সিজেনের ঘাটতির কথা যখন মেডিক্যাল ডিরেক্টর বলছেন তখনই উল্টো কথা বলেছেন হাসপাতালের চেয়ারম্যান।
ঘটনার সূত্রপাত দিল্লির শ্রী গঙ্গারাম হাসপাতালের এক মেডিক্যাল ডিরেক্টরের বিবৃতি নিয়ে। সংসবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রকাশ করা বিবৃতি অনুযায়ী হাসপাতালের এক ডিরেক্টর জানিয়েছিলেন, গত ২৪ ঘণ্টার তাদের হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ২৫ জন খুব অসুস্থ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাতপাতালে মাত্র ২ ঘণ্টা চলার মত অক্সিজেন মজুত রয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন যে ভেন্টিলেটর আর বাইপ্যাপ প্রয়োজন মত কাজ করছে না। জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেনের প্রয়োজন রয়েছে। হাসাপাতালে আরও ৬০ জন গুরুতর অসুস্থ রোগী রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। বিমানের সাহায্যে অক্সিজেন নিয়ে আসার কথাও তিনি বলেছেন।
কিন্তু হাসপাতালের চেয়ারম্যানের বিবৃতি অনুযায়ী, প্রথমবারের মত তাদের হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু হাসাপাতালে অক্সিজেনের অভাবের কথা তিনি সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে মৃত্যুর সঙ্গে অক্সিজেনের ঘাটতিকে যুক্ত করতেও তিনি রাজি নন। তাঁর কথায় দিল্লিতে করোনাভাইরাসের সংকট বাড়ছে। বিপুল পরিমাণে রোগী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসরপাতালে আসছেন। চিকিৎসার সময়ই তাঁদের মৃত্যু হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন। এই মৃত্যুর সঙ্গে অক্সিজেনের ঘাটতির কোনও যোগাযোগ নেই বলেও দাবি করেছেন চেয়ারম্যান।
দিল্লির সেরা বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে একটি হল শ্রী গঙ্গারাম হাসপাতাল। এখানে প্রায় ৫০০ কোভিড রোগীর চিকিৎসা চলছে। যার মধ্যে ১৪২ জনকে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। তবে দিল্লির বেশ কয়েকটি হাসপাতালে গত তিন দিন অক্সিজেনের সংকটের খবর সামনে এসেছে। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দিল্লি হাইকোর্টও। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে মেডিক্যাল তরল অক্সিজেন জরুরি ভিত্তিতে সরবরাহের নির্দেশও দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।