সংক্ষিপ্ত
নীতিশ বলেছেন যে বিহার ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস মহামারীর তৃতীয় তরঙ্গের মধ্যে রয়েছে। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) ৯৬তম জাতীয় সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এই সতর্কতা জারি করেন বলে জানা গেছে।
তৃতীয় তরঙ্গ (3rd Wave) ইতিমধ্যেই প্রবেশ করেছে রাজ্যে (Bihar)। আরও সতর্ক হতে হবে সাধারণ মানুষকে (Common People)। এই ভাষাতেই রাজ্যের মানুষকে সতর্ক করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী (Bihar CM) নীতিশ কুমার (Nitish Kumar)। তিনি বলেন রাজ্যে মহামারীর তৃতীয় তরঙ্গ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এই প্রথম এনডিএ-র কোনও শরিক দলের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে তৃতীয় তরঙ্গের কথা স্বীকার করলেন। নীতিশ বলেছেন যে বিহার ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস মহামারীর তৃতীয় তরঙ্গের মধ্যে রয়েছে। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) ৯৬তম জাতীয় সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এই সতর্কতা জারি করেন বলে জানা গেছে।
যদিও করোনার তৃতীয় তরঙ্গের মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থা রেখেছে রাজ্য সরকার বলে জানিয়ে নীতিশ বলেন সবধরণের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রাজ্য। স্বাস্থ্য দফতর ও রাজ্য সরকারের জারি করা নির্দেশিকা মেনেই হাসপাতালগুলি কাজ চালাচ্ছে। এখনও অবধি, বিহারে COVID-19-এর নতুন রূপ ওমিক্রনে আক্রান্তের একটিও কেসও সামনে আসেনি। তবে, দেশের সামগ্রিক ওমিক্রন ট্যালি ৭০০ ছাড়িয়েছে।
রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে, বিহারে করোনাভাইরাসের ১১৭জন করোনা আক্রান্ত। mygov.in ডেটা অনুসারে মঙ্গলবার, রাজ্য সরকার করোনার কারণে ৩১শে ডিসেম্বর থেকে দোসরা জানুয়ারী পর্যন্ত পার্কগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এর আগে শনিবার রাজ্যে বিধিনিষেধমূলক ব্যবস্থা আনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন এখনই বিহারে নাইট কার্ফু জারি করার কোনও দরকার নেই।
এদিকে, ১৪০ কোটির এই দেশে ওমিক্রন খুব দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল কাট্টুমান ভারতের কোভিড পর্যালাচনা করে তেমনই দাবি করেছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চলতি সপ্তাহের শেষেই ভারতে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান দ্রুত হারে বাড়়িয়ে দেবে ওমিক্রন। তবে তিনি বলেছেন দৈনিক সংক্রমণ কতটা বাড়তে পারে তা এখনই অনুমান করা সম্ভব নয়।
ভারতের এখনও পর্যন্ত কোভিড আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৩৪.৮ মিলিয়ন। মৃত্যু হয়েছে ৪৮০.২৯০। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারত আরও একটি প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে মোকাবিলার প্রস্তুতিত নিচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫৩। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত বৃদ্ধি ও অসুস্থদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। পাশাপাশি দেশের টিন এজারদেরও কোভিড টিকা দেওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।