সংক্ষিপ্ত

পুনাওয়ালা এদিন বলেন শিশুদের জন্য নোভ্যাক্স COVID-19 ভ্যাকসিন চালু করার পরিকল্পনা করছে সেরাম ইনস্টিটিউট।

আগামী ছয় মাসের (next 6 months) মধ্যে শিশুদের জন্য কোভিড ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে আসবে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (Serum Institute of India)। মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন সেরামের সিইও (Serum CEO) আদর পুনাওয়ালা(Adar Poonawalla)। পুনাওয়ালা এদিন বলেন শিশুদের জন্য নোভ্যাক্স COVID-19 ভ্যাকসিন চালু করার পরিকল্পনা করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। সেরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দু বছর থেকে ১৭ বছর বয়েসীদের জন্য ৯২০ টি বিষয়ে ন্যানো পার্টিকেল ভ্যাকসিন (লিকুইড)-এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করা হচ্ছে।

পুনাওয়ালা বলেন শিশুদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হওয়ার খুব বেশি হার দেখা যায়নি। তবে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সেরাম আগামী ছয় মাসের মধ্যেই ভ্যাকসিন নিয়ে আসবে। তিন বছরের মধ্যে শিশুদের তা দেওয়া যাবে। এই ভ্যাকসিন যথেষ্ট নিরাপদ ও কার্যকর। কেন্দ্রের ঘোষণার পরেই তা বাজারে নিয়ে আসা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুনাওয়ালা।  

উল্লেখ্য, ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর কোভিড (NEGVAC) এবং ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI) ১৮ বছরের কম বয়সদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছে। ইতিমধ্যেই ভারত বায়োটেক COVAXIN-এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করছে। এই বিষয়ে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল (DCGI)-এর কাছে  নিরাপত্তা এবং ইমিউনোজেনিসিটি ডেটা জমা দিয়েছে৷

এছাড়াও বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেড ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী গ্রুপের ৬২৪টি বিষয়ে SARS-CoV-2 জিনের আরবিডি-এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করছে। জনসন অ্যান্ড জনসন প্রা. লিমিটেড ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের মধ্যে Ad.26COV.2S ভ্যাকসিনের ফেজ দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করছে। 

এদিকে, করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনে (Omicron) বেশি আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। এমনই সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথনের। তিনি আরও জানান, অনেকগুলি কোভিড -১৯ টিকা শিশুদের জন্য তৈরি হয়নি বা পাওয়া যাচ্ছে না। শুধুমাত্র কয়েকটি দেশ শিশুদের টিকা দিচ্ছে। শিশুদের জন্য ভ্যাকসিনের অনুপস্থিতি কোভিড - ১৯ সংক্রমণের বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে এদিন সতর্ক করেন তিনি। 

হু-র প্রধান বিজ্ঞানীর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, শিশুদের জন্য অনেক টিকা পাওয়া যায় না এবং খুব কম দেশেই শিশুদের টিকা দেওয়া হয়। শিশু এবং টিকা না পাওয়া ব্যক্তিরা বেশি সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে। ফলে আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও শিশুদের উপর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব সম্পর্কে তথ্যের অনুসন্ধান করছে।