সংক্ষিপ্ত

  • একদিনের নোটিশেই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক কংগ্রেসে
  • আলোচনা হতে পারে দলের সংগঠন নিয়ে 
  • সভাপতি হিসেবে উঠছে দুটি নাম 
  • বড় রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে দলের অন্দরে 


দীর্ঘ দিন ধরেই জল্পনা চলছিল দলের অন্দরে। কখনও কখনও তা বাইরেও এসেছিল।রাহুল গান্ধী থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মুখ খুলেছিলেন বিষয়টি নিয়ে । আর প্রত্যেকেই জানিয়েছিলেন গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে আসুক কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু এতদিন বিষয়টি নিয়ে নীবর ছিলেন সনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসের ২৩ জন প্রবীণ নেতা সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লেখার পরই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বলে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। আর এক দিনের নোটিশে সোমবারই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়।  পাশাপাশি একটি সূত্র বলছে কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভানেত্রীর পদ থেকে সোমবারই ইস্তফা দিতে পারেন সনিয়া গান্ধী। 

একটি সূত্র বলছে সোমবারের  ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক রীতিমত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই বৈঠকেই দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি দলের নেতৃত্ব নিয়েও আলোচনা হবে। কংগ্রসের ওয়ার্কিং কমিটিও হল দলের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা। তাই আগামিকাল কংগ্রেস দলের নেতৃত্ব ও সংগঠন নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। 

সনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে সই রয়েছে, কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেস নেতার কথায় তাঁরা রাহুল গান্ধী বা সনিয়া গান্ধীর কোনও সমালোচনা করেননি। কিন্তু ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে ক্রমশই শক্তি হারাচ্ছে শতাব্দী প্রাচিন এই দলটি।  কেন এই অবস্থা, তা পর্যালোচনা করতে চান তাঁরা। তাঁরা দল পরিচালনা নিয়ে আলোচনার করতে চেয়েছেন।  তাঁদের কথা মেনে নিয়েই ডাকা হয়েছে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানিয়েছেন কেউ কে কাউকেই বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধঁতে হত, সেই কাজটি তাঁরা ২০ জনে মিলে করেছেন। 

অন্যদিনে কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডের সিদ্ধান্তকে রীতিমত স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা। এক কংগ্রেস নেতার কথায় রাহুল গান্ধী সভাপতির পদ গ্রহণে এখনও পর্যন্ত কোনও আগ্রহ দেখাননি। এই অবস্থায় পরবর্তী সভাপতি হিসেবে  হিসেবে উঠে আসছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বা একে অ্যান্টনির নাম। পাশাপাশি ব্লক স্তর থেকেই কংগ্রেসের দলীয় সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর বিষয়েও আলোচনা করা হবে বলেই সূত্রের খবর। প্রবীণ নেতাদের কী মেনে নেবে নবীন কর্মী সংগঠকরা। তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ শশী থারুর থেকে মণীশ তিওয়ারির মত প্রথম সারির নেতারা ওখনও পর্যন্ত নবীন নেতৃত্বের জন্যই সওয়াল করে আসছেন। তাই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আবাই বড় ইস্যু হতে পারে প্রবীণ বনাম নবীনের দ্বন্দ্ব।