সংক্ষিপ্ত

ধীরে ধীরে শক্তি বাড়াচ্ছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীন নিম্নচাপটি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছেন এটি ৬ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটার  সরছে গেছে। 

ধীরে ধীরে শক্তি বাড়াচ্ছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীন নিম্নচাপটি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছেন এটি ৬ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটার  সরছে গেছে। পশ্চিম থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে সরছে। দ্রুত শক্তি বাড়িয়ে রবিবার সন্ধ্যের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড় অশনিতে পরিণত হতে পারে বলেও ভারতের আবহাওয়া দফতর অনুমান করছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছেন রবিবার সকাল ৫টা ৩০ এ এটি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসারের কেন্দ্রীভূত ছিল। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ছেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিম দিতে অবস্থান ছিল। পোর্ট ব্লেয়ার থেকে এটি ছিল ৩৮০ কিলোমিটার দূরে। আর বিশাখাপত্তনম থেকে এটির দূরত্ব ছিল ৯৭০ কিলোমিটার। ওড়িশার পুরী থেকে নিম্মচাপটি ছিল ১০৩০ কিলোমিটার দূরে। 

আবাহওয়া দফতর জানিয়েছে, এটি উত্তর - পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে যাবে। সেখানেই তূব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না মৌসমভবন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে দ্রুত গতিতে শক্তি সঞ্চয় করে এটি ১০ মে সন্ধ্যায় উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। যার অর্থ এটি এগিয়ে আসতে পারে অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের দিকে। যদিও শনিবার হাওয়া অফিস জানিয়েছিল ঘূর্ণিঝড়টির ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা খুবই কম। তবে এখন গতি পরিবর্তন করতে শুরু করেছে নিম্মচাপটি। 

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এটি রবিবার পর্যন্ত একটি সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই অবস্থান করবে। তারপর শক্তিশাবাড়িয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ১১-১২ মের মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান পরিষ্কারভাবে জানা যাবে। এখনও অশনির গতিবিধি স্পষ্ট নয়। ওড়িশা অন্ধ্র উপকূল ছাড়িয়ে এটি বাংলাদেশে গিয়ে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনও উড়িয়ে দিচ্ছে না আবহাওয়াবীদরা। 

হাওয়া অফিস জানিয়েছে সোমবার থেকে উপকূলবর্তী এলাকায় হাওয়ার গতিবেগ বেড়ে যাবে। হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। খুব বেশি হলে হওয়ার গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড়ের চরিত্র স্পষ্ট না হলেও ইতিমধ্যেই হাওয়া অফিস ওড়িশা অন্ধ্র প্রদেশে উপকূলের সঙ্গে এই রাজ্যের জন্যও সতর্কতা জারি করেছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ত্রান তৈরি রাখতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। হাওয়া অফিস আগামী এক সপ্তাহ মৎজীবীদের সমুদ্রে যেতে না দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে।